মিনাক্ষী দাসঃ উত্তর চব্বিশ পরগণাঃ গত তিনদিন থেকে নিখোঁজ থাকার পর শেষমেশ সোদপুরের বাসিন্দা ৩০ বছর বয়সী নিমাই ঘোষালের পচা গলা মৃতদেহ উত্তর চব্বিশ পরগণার সোদপুরের বেনিয়াপুকুরে গোরাচাঁদ লেনের একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কের মধ্যে থেকে উদ্ধার হলো।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার সকালে সমগ্র এলাকা পচা দুর্গন্ধে ভরে গিয়েছিল। এরপরই প্রতিবেশীরা দুর্গন্ধের সন্ধান করতেই বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কের মধ্যে নিমাইবাবুর পচা গলা মৃতদেহ দেখতে পান। তারপর দ্রুত এলাকাবাসীরা পুলিশের কাছে খবর দেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ ই জুন থেকে নিমাই বাবু নিখোঁজ ছিলেন। মালিকের বাড়ি থেকেই হাত-পা ভাঁজ করা মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, “বাড়িটির মালিক রাজীব রায়ের এলাকাতেই একটি ওষুধের দোকান আছে। নিমাইবাবু সেই দোকানেই কাজ করতেন”।
বেনিয়াপুকুর থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করার পর রাজীববাবু ও তার দোকানের একাধিক কর্মীকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
পুলিশ এও জানতে পেরেছে যে, কিছুদিন আগে নিমাইবাবুর দোকানের একজন কর্মীর সাথে হাতাহাতি হয়েছিল। সেই ঘটনা থেকেই কি এই খুন না এই হত্যার পেছনে অন্য কোনো রহস্য আছে তা জানতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
তবে এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতে লালবাজারের হোম সেট শাখার আধিকারিকরা সহ লালবাজারের সাইন্টিফিক উইং ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয়েছে।
মৃতের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, “নিমাইবাবুকে খুন করা হয়েছে”। এই হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে পরিবারে শোকের ছায়ার পাশাপাশি এলাকা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।