নিজস্ব সংবাদদাতাঃ উত্তরপ্রদেশঃ রাজ্যের পর এবার উত্তরপ্রদেশে মিড-ডে মিল প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যেখানে উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদ জেলার শিকোহাবাদ এলাকার এক জন শিক্ষক সরকারী প্রকল্পে বরাদ্দ সাড়ে ১১ কোটি টাকা হাতিয়ে নিলেন। পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনে মামলা রুজু করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত চন্দ্রকান্ত মিশ্র নিজেকে স্থানীয় একটি প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে পরিচয় দিতেন। রেশন কার্ড সহ বিভিন্ন ভুয়ো নথি ব্যবহার করে সারস্বত আওয়াশিয়া শিক্ষা সেবা সমিতি নামে একটি এনজিও খুলেছিলেন। নিজের বাবাকেই সেই এনজিওর সভাপতি করেছিলেন। মা ম্যানেজার ও স্ত্রী কোষাধ্যক্ষ ছিলেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
এমনকি মা জীবিত থাকা সত্ত্বেও মা’কে মৃত বলে ঘোষণা করেছিলেন। অভিযোগ উঠেছে যে, চন্দ্রকান্ত চুক্তির ভিত্তিতে ফিরোজাবাদ জেলার সমস্ত স্কুলের মিড-ডে মিল প্রকল্পের খাবার সরবরাহ করার দায়িত্ব নেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
কিন্তু খাবার সরবরাহ না করে এনজিওর নাম করে সরকারী প্রকল্পে ১১ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন। জেলাশাসক রবি রঞ্জন জানান, “বিষয়টি নজর আসতেই পুলিশ মামলা দায়ের করেছেন। এই ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, এর আগে উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরের একটি সরকারী বিদ্যালয়ের মিড-ডে মিলের ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। যেই ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল যে, প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণীর পড়ুয়ারা বিদ্যালয়ে সার দিয়ে বসে রুটি আর নুন খাচ্ছে। অথচ সরকারী ওয়েবসাইটে মিড-ডে মিলের তালিকায় ভাত, রুটি-সব্জি আছে। সাথে ফল এবং দুধও রয়েছে।
যোগী রাজ্যে এই মিড-ডে মিলের আওতায় দেড় লক্ষ প্রাইমারী এবং জুনিয়র হাইস্কুল রয়েছে। এক কোটিরও বেশী পড়ুয়ার খাতায়-কলমে এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার কথা। তাহলে রুটি আর নুন কেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে? সরকারী আধিকারিক সংশ্লিষ্ট স্কুল সহ পর্যবেক্ষকের এই গাফলতির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন।