নিজস্ব সংবাদদাতাঃ উত্তরপ্রদেশঃ গত ৫ ই আগস্ট করোনা পরিস্থিতিতে করোনার নিয়ম-বিধি মেনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অযোধ্যার রামমন্দিরের ভিত পুজো করেন।অযোধ্যায় রামমন্দির মন্দিরটি নির্মাণ করতে ১১০০ কোটি টাকা খরচ হবে। যেখানে মূল মন্দিরটি নির্মাণ করতে ৩০০-৪০০ কোটি টাকা খরচ হবে। কিন্তু এর থেকে খরচ যেতে বেড়ে যেতেও পারে। আগামী তিন থেকে সাড়ে তিন বছরের মধ্যে মন্দির নির্মাণের কাজ শেষ করার কথা। আর এই মন্দির পুনর্নির্মাণের জন্য আজ রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ৫ লক্ষ ১০০ টাকা দিলেন।
স্বামী গোবিন্দদেব গিরিজি মহারাজ জানিয়েছিলেন, “মন্দির নির্মাণে মুখ্য ভূমিকা নিচ্ছেন রুরকির বিশেষজ্ঞরা, সেন্ট্রাল বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট, লার্সেন এন্ড টুব্রো ও টাটা গোষ্ঠীর উচ্চপদস্থ ইঞ্জিনিয়ররা এবং বম্বে, দিল্লি, মাদ্রাজ এবং গুয়াহাটি আইআইটি-র বিশেষজ্ঞরা”।
শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সহ সভাপতি গোবিন্দ দেব গিরিজি মহারাজ সহ আরএসএস নেতা কুলভূষণ আহুজা, মন্দির নির্মাণ কমিটির প্রধান নৃপেন্দ্র মিশ্র ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কার্যনির্বাহী সভাপতি অলোক কুমার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন। আজ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত রামমন্দির নির্মাণের জন্য দেশ জুড়ে অনুদান সংগ্রহ শুরু চলবে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereএই বিষয়ে বিজেপি নেতা সুশীল মোদী বলেন, “আশা করি, বিহারের প্রত্যেকটি হিন্দু পরিবার একটি সুন্দর মন্দির নির্মাণের জন্য অনুদান দেবে। আমি নিশ্চিত যে মন্দির প্রতিষ্ঠা করতে যে অর্থের প্রয়োজন তা জনগণের থেকেই পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে যেহেতু ভগবান রামচন্দ্রের মন্দির তৈরি হচ্ছে, তাই হিন্দু জাতিকেই এই দায়িত্ব নিতে হবে”। ট্রাস্ট স্থির করেছে যে, সরকার কোনো বিদেশি সংস্থা অথবা কর্পোরেট সংস্থার থেকে অনুদান নেবে না।
তবে উত্তর প্রদেশের মুরাদাবাদ জেলা থেকে সমাজবাদী পার্টির সাংসদ এস টি হাসান অভিযোগ করেছেন যে, “ইউপিতে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি আসন্ন নির্বাচনের সুযোগ নিতে রাম মন্দিরের জন্য অনুদান সংগ্রহ করতে আসা লোকদের ওপর পাথর ছুঁড়তে পারেন”।