মিনাক্ষী দাসঃ দই আমাদের সকলেরই খুব প্রিয়। বাড়িতে হোক বা কোনো অনুষ্ঠান বাড়িতে বাঙালীদের শেষপাতে দই থাকবেই। দই হল এক ধরনের দুগ্ধজাত খাদ্য যা দুধের ব্যাক্টেরিয়ার গাঁজন থেকে তৈরি করা হয়। ল্যাক্টোজের গাঁজনের মাধ্যমে ল্যাকটিক অ্যাসিড প্রস্তুত করা হয়। আর এটি শরীরের পক্ষেও খুব ভালো একটি সুষম ও অতি সুস্বাদু আহার।
মিষ্টি দইয়ের পাশাপাশি টক দইও আমাদের শরীরের পক্ষে দারুণ উপকারী। এবার চলুন জেনে নিই এই টক দইয়ের উপকারীতা।
১) টক দই রক্ত পরিষ্কার করে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here২) টক দই ব্রেইনকে Tyrosine সরবরাহ করে। যা মানসিক শান্তি দেয় ও ক্লান্তি কমায়।
৩) নিয়মিত টক দই খেলে তা অন্য খাবার থেকে পুষ্টি সংগ্রহ করে সারা শরীরে সরবরাহ করে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here৪) গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা খুব বেশী পরিমাণে থাকায় তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণের জন্য টক দই খাওয়া উচিত।
৫) টক দই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও জ্বর, সর্দি-কাশি প্রতিরোধ করতে অত্যন্ত সাহায্য করে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here৬) টক দই ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল এলডিএল এবং হার্টের যেকোনো রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
৭) উচ্চ রক্তচাপযুক্ত রোগীদের ক্ষেত্রে প্রতিদিন টক দই খাওয়া উচিত। তার ফলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৮) টক দইতে প্রচুর ক্যালশিয়াম এবং ভিটামিন D থাকার কারণে হাড় ও দাঁতের গঠন মজবুত করতে সাহায্য করে।
৯) টক দই ল্যাকটিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি আমাশয়, ডায়ারিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং কোলন ক্যান্সারের রোগীদের জন্য ভীষণভাবে উপকারী।
১০) টক দইয়ের উপকারী ব্যাকটেরিয়া ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে ও শরীরের উপকারী ব্যাকটেরিয়াকে বাড়িয়ে হজম শক্তি সঠিক রাখে কিংবা বৃদ্ধি করে।
১১) এছাড়াও টক দই ত্বক ও চুলের জন্য খুব ভালো কাজ করে। এই টক দই ত্বক এবং চুলে মাখলে খুব রুক্ষতা আর শুষ্কভাব দূর হয়। এমনকি এক উজ্জ্বলভাব বজায় থাকে।
১২) টক দই শরীরে টক্সিন জমতে বাধা দেয়। তাই অন্ত্রনালী পরিষ্কার রেখে শরীরকে সুস্থ রাখে ও অকালবার্ধক্য রোধ করে। শরীরে টক্সিন কমার কারণে ত্বকের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায়।
১৩) টক দইয়ের পুষ্টি উপাদানগুলো খাবার হজমের সময় তাড়াতাড়ি শরীরে শোষিত হয়ে দ্রুত শরীরকে শক্তি দেয়। কম ফ্যাটযুক্ত এই টক দই ওজন কমাতেও যথেষ্ট উপকারী।