রায়া দাসঃ কলকাতাঃ এবার সুপ্রিম কোর্ট প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্যানেলের মেয়াদ শেষে নিয়োগ নাকোচ করলো। বিচারপতি হৃষীকেশ রায়ের বেঞ্চ এই মামলায় স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছে, ‘‘২০২০ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় রয়ে যাওয়া শূন্যপদে কোনো নিয়োগ নয়।’’
আরটিআইয়ের উত্তরে জানা যায় ৩ হাজার ৯২৯ শূন্যপদ। আর হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এই ৩ হাজার ৯২৯ শূন্যপদে যোগ্যদের চাকরী দেওয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট সেই নির্দেশ খারিজ করে দেয়। তবে পর্ষদের ওই শূন্যপদে পরবর্তী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করতে কোনো বাধা আর রইল না। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে ও ২০২০ সালে ২০১৪ সালের টেটের উপর ভিত্তি করে নিয়োগ হয়। ২০২০ সালে ১৬ হাজার ৫০০ পদে শিক্ষক নিয়োগের কথা বলা হলেও সব পদে নিয়োগ হয়নি।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
আদালতের একটি মামলায় জানা যায় ১২ হাজার পদে নিয়োগ হয়। আর ৩ হাজার ৯২৯ পদে নিয়োগ বাকি থেকে যায়। মামলায় তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, ‘‘অবিলম্বে ৩ হাজার ৯২৯ পদে পর্ষদকে নিয়োগ করতে হবে। ২০১৪ সালের টেট উর্ত্তীর্ণদেরই ওই শূন্যপদে চাকরী পাওয়ার অধিকার। পরে তিনি ভুল প্রশ্নের কারণে মামলাকারীদেরও চাকরী দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।’’
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereপর্ষদ এবং টেট উত্তীর্ণদের একাংশ এক বেঞ্চের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যায়। তবে ডিভিশন বেঞ্চ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশই বহাল রাখে। সেক্ষেত্রে একক বেঞ্চ মামলাকারীদের প্রাধান্য দেওয়ার কথা বলে। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চ সবাইকে চাকরী দেওয়া কথা বলে। এরপর পর্ষদ এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায়। শীর্ষ আদালত হাইকোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছিল। আর এবার সেই মামলাতেই ইতি টানলো।