নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নয়া দিল্লিঃ আজ কৃষক আন্দোলন ৫৬ তম দিনে পা রেখেছে। আগামী প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে ৪০ টি কৃষক ইউনিয়ন ২০ হাজার ট্র্যাক্টর নিয়ে মিছিলের ডাক দিয়েছে। তাতে কয়েক হাজার কৃষক অংশ নিতে প্রস্তুত হয়েছেন।
কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টের কাছে ২৬ শে জানুয়ারী আন্দোলনরত কৃষকদের দিল্লির আউটার রিং রোডে ট্র্যাক্টর র্যালি বাতিল করার আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্ট সেই আবেদন তুলে নিতে নির্দেশ দিল। আদালতের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, “কোনো মিছিলে অনুমতি দেওয়া বা নিষেধাজ্ঞা জারি করা আমাদের কাজ নয়। আমরা কোনো রায় দেব না। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র সরকার ও দিল্লি পুলিশ”।

- Sponsored -
আজ কেন্দ্রের সাথে কৃষকদের দশম দফার আলোচনা। এর আগের ন’টি আলোচনায় কোনো সমাধান হয়নি। শীর্ষ আদালত কৃষক এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে মধ্যস্থতা করে সমাধানে পথ খোঁজার চেষ্টা করতে একটি কমিটি গড়েছে। যদিও ইতিমধ্যেই কৃষক সংগঠনগুলি ওই কমিটির সদস্যদের নিয়ে আপত্তি তুলেছে কারণ চার সদস্যের ওই কমিটির তিনজনই কেন্দ্রীয় সরকারের ঘনিষ্ঠ। তাই তাঁদের সঙ্গে কথা বলে সমাধানের পথ বেরোবে বলে কৃষকরা সেই কমিটির সঙ্গেও কোনোরকম আলোচনা করতে রাজি নন।
তবে চার সদস্যের মধ্যে ভারতীয় কিসান ইউনিয়নের নেতা ভূপিন্দর সিং মান কমিটি থেকে নাম তুলে নিতে চেয়েছেন। এই ঘটনায় কিসান মহাপঞ্চায়েত এই কমিটির পুনর্গঠন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করেছিলেন। ফলে প্রধান বিচারপতি বোবদে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কারণ আদালতের কমিটি নিয়ে প্রশ্ন তোলা ও তা পুনর্গঠনের আবেদন জানানো মানহানিকর।
তবে কৃষি আইন প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দিয়েছে, “কৃষি আইন নিয়ে তাড়াহুড়ো করা হয়নি। দুই দশক ধরে আলোচনার পরে ওই আইন করা হয়েছে। দেশের কৃষকরা ওই আইনে খুশি হয়েছেন। এর ফলে তারা উত্পাদিত ফসল বিক্রি করার আরো বেশী সুযোগ পাবেন। একইসঙ্গে মোদী সরকার চেষ্টা করছে যাতে কৃষকদের মধ্যে থেকে ওই আইন নিয়ে ভুল ধারণা দূর করা যায়”।