স্থলবন্দরে হামলার ঘটনায় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার অভিযুক্ত

Share

সব্যসাচী মজুমদারঃ জলপাইগুড়িঃ এনজেপি এলাকার স্থলবন্দরে হামলার ঘটনায় অবশেষে পলাতক প্রসেনজিৎ রায়কে জলপাইগুড়ি জেলা ও দায়রা আদালতে তোলা হল। ১৪ দিনের জন্য ধৃতকে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে রেখেছিল। বিচারক ন’দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। এদিন ধৃত প্রসেনজিৎ পুলিশ এবং দলের বিরুদ্ধে কোনোরকম মক্তব্য করেননি। এদিকে প্রসেনজিৎ এর অনুগামীদের কোর্ট চত্বরে যথেষ্ট ভিড় ছিল।

৪ ঠা অক্টোবর শ্রমিক সরবরাহ নিয়ে এনজেপি এলাকায় স্থলবন্দরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়৷ প্রসেনজিৎতের নেতৃত্বে ভাঙচুর, হামলা ও গুলি চালানোর অভিযোগ উঠে স্থলবন্দরে। ঘটনায় দিন শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন। এরপর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে প্রসেনজিৎকে তৃণমূল দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এদিকে ঘটনায় পরেই অভিযুক্ত প্রসেনজিৎ পালিয়ে গিয়েছিল।

https://www.youtube.com/watch?v=C_ddc1VrR_8&feature=youtu.be


পুলিশ সূত্রে জানা জানিয়েছে, সোমবার শিলিগুড়ি পুলিশ অসম পুলিশের সাহায্যে প্রসেনজিৎকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার বহিস্কৃত তৃণমূল নেতাকে অসমের তিনসুকিয়া থেকে ট্রানজিট রিমান্ড নিয়ে গোহাটি হয়ে বিমানে বাগডোগরায় নিয়ে আসা হয়। পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে ঘটনার পর থেকেই তিনি অসমের মামাবাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন। তিনি সেখানে দেওচড়াই, তিনসুকিয়া, ডিব্রুগড় এবং শিবসাগর জেলার গাড়ি নিয়ে ঘোরাঘুরি করতেন। সন্দেহজনক গতিবিধি অসম পুলিশের কাছে পৌঁছায়। এরপরেই শিলিগুড়ি থেকে পুলিশের দল অসমে যায়। সোমবার সকালে ফের তিনি মামাবাড়িতে গাড়িতে করে ঢোকার পথে পুলিশ জাতীয় সড়কে ব্যারিকেড করার পরেই প্রসেনজিৎ ধরা পড়ে যায়।

গতকাল তাকে জলপাইগুড়ি জেলা ও দায়রা আদালতের তোলা হয়। তার বিরুদ্ধে খুনের মামলা সহ অস্ত্র আইনের মতো একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলা আদালতের কোর্ট হাজত থেকে কোর্টে তোলার সময় যেতে যেতে প্রসেনজিৎ রায় বলেছেন, “একটা ঘটনা ঘটেছিল। ওটা সরকারী প্রজেক্ট। যদিও আমি স্পটে ছিলাম না। এই ঘটনা কখনোই বাঞ্চনীয় নয়। ঘটনাটি না হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু ঘটনাটি ঘটে গিয়েছে তাই কি আর করা যাবে। যেহেতু আমি ওখানকার লিডার। আর আমার এলাকার মধ্যে পরে। তাই আমার জন্য দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। আমাকে দলের ভাবমূর্তি ভালোর জন্য দল বহিষ্কার করে ভালোই করেছে। এতে ফাঁসানোর কোনো ব্যপার নেই। ঘটনাটি তো সত্য৷ আর কিছু বলার নেই”।  


Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
July 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031