নক্ষত্র জগতে ছন্দে পতন ঘটিয়ে চলে গেলেন আরো এক প্রতিভাবান গীতিকার

Share

চয়ন রায়ঃ কলকাতাঃ স্বর্ণ যুগের আধুনিক বাংলা গানের শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পীদের মধ্যে থেকে এবার হারিয়ে গেলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। ৯০ বছর বয়সেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন।

আজ সন্ধ্যাবেলা ৭ টা ৩০ মিনিটে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারী হাসপাতালে প্রয়াত হন।


হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৬ শে জানুয়ারী বুধবার রাতের বেলা সঙ্গীতশিল্পী শৌচাগারে পড়ে গিয়ে চোট পান। এরপর এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। তারপর তড়িঘড়ি মেডিক্যাল বোর্ড গঠিত হয়। এরপরেই বেশ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। আবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যাও ছিল। এছাড়া দু’টি ফুসফুসেই সংক্রমণ দেখা দেয়।


কিন্তু চিকিৎসার পর শারীরিক অবস্থা ক্রমশ স্থিতিশীল হচ্ছিল। তবে আচমকা এদিন সন্ধ্যাবেলা নাগাদ শারীরিক জটিলতা বাড়তেই চিরতরে নিভে গেল এই সন্ধ্যা প্রদীপ। সন্ধ্যা মুখোপাধ্য়ায় ১৯৪৫ সালে মাত্র ১৪ বছর বয়সে প্রথম গান রেকর্ড করে সংগীতের জগতে পদার্পণ করেন। ১৯৫০ সালে মুম্বই পাড়ি দিয়ে ১৭ টি হিন্দি ছবিতে প্লেব্যাক করেন।


সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের ‘এই মধুরাত’, ‘এ শুধু গানের দিন’, ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’ এইরকম বিভিন্ন ছবির রোমান্টিক গানের পাশাপাশি বাংলা বেসিক গান যেমন ‘হয়ত কিছুই নাহি পাবো’, ‘চম্পা চামেলি গোলাপেরই বাগে’, ‘মায়াবতী মেঘে এল তন্দ্রা’, ‘শঙ্খ বাজিয়ে মাকে ঘরে এনেছি’, ‘আয় বৃষ্টি ঝেপে ধান দেব মেপে’ -এর মতো অসংখ্য কালজয়ী গান তাঁকে অমর করে রাখবে।

এছাড়া লতা মঙ্গেশকরের সাথে ‘বাল পাপিহে বোল রে’, ‘তু বোল পাপিহে বোল’ এর মতো গান ডুয়েট গেয়েছিলেন। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ১৯৭১ সালে ‘জয়জয়ন্তী’ ও ‘নিশিপদ্ম’ ছবিতে গান গেয়ে জাতীয় পুরষ্কার লাভ করেছেন। ১৯৯৯ সালে লাইফটাইম অ্য়াচিভমেন্টের জন্য ভারত নির্মান পুরষ্কার অর্জন করেন। ২০১১ সালে বঙ্গবিভূষণ সম্মানে ভূষিত হন।

এবং চলতি বছরে মাত্র দু’দিন আগে কেন্দ্রীয় সরকার ‘পদ্মশ্রী’ দিতে চাইলেও এতদিন সে সম্মান না দেওয়ায় তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও গভীর ভাবে শোকাহত হয়েছেন।

Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
May 2025
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031