অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা শিল্প মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পরই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় নামে-বেনামে বিভিন্ন সম্পত্তির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। ঝাড়গ্রামের বাঁধগোড়া এলাকায় বেনামী জমির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।
আর জমির খোঁজ পাওয়ার সাথে সাথেই সেখানকার এলাকাবাসী মুখ খুলতে শুরু করেছেন। তাঁর ঘনিষ্ঠ অতনু গুচ্ছাইত জমি কিনেছিলেন। যার কাছ থেকে এই জমি কেনা হয়েছিল, তার অভিযোগ, “জমির পুরো টাকা দেওয়া হয়নি। টাকার কথা বললেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম করেই হুমকি দেওয়া হত। এদিকে নোটবন্দির সময় এখানে বস্তা বস্তা টাকাও এসেছে।
তৎকালীন জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারও এখানে আসতেন। তাছাড়া প্রায় নিয়মিত প্রভাবশালী নেতারা আসা যাওয়া করতেন। গভীর রাত অবধি পার্টি চলত।” পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ দলীয় নেতারা তাঁর টাকায় সোনার কয়েনও কেনেন বলে অভিযোগ উঠে এসেছে।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের একের পর এক জায়গা থেকে সম্পত্তির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। যেমন দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার বারুইপুরেও পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতার জোড়া সম্পত্তির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। বারুইপুরের বেগমপুর অঞ্চলের পুঁড়ি গ্রামে বাগানবাড়িতে প্রায় তিন বিঘা জমির উপর বিশ্রাম নামে দোতলা বাড়ি রয়েছে।
যা প্রায় ১৪ বছর আগে তৈরী হয়। এই বাড়ির ভিতরে পুকুর, স্নানঘাট এবং সুসজ্জিত বাগান রয়েছে। যেখানে নামী-দামী ফুল-ফলের গাছ রয়েছে। অন্যদিকে বাড়ির নেমপ্লেটে একদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মেয়ে সোহিনীর নাম লেখা রয়েছে। এলাকাবাসীরা জানান, “পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সাথে স্থানীয় নেতৃত্বরাও এখানে আসতেন।”
এর পাশাপাশি কল্যাণপুর অঞ্চলের ধোপাগাছিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ইচ্ছা নামক বাগানবাড়ির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। চার থেকে পাঁচ বছর আগে অর্পিতা এই বাগানবাড়ি নাকতলার এক বাসিন্দার কাছ থেকে লিজ নিয়েছিলেন। মাঝের মধ্যে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা এখানে আসতেন।
অর্পিতা বাগানের ফলের চারাগাছের দেখাশোনা করতেন। এমনকি মাকে নিয়েও এসেছিলেন। বর্তমানে ইডি এই সব কিছু নিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন।