পিঙ্কি পালঃ দক্ষিণ চব্বিশ পরগণাঃ বাংলাদেশের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির জেরে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলেও বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আজ দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার ফ্রেজারগঞ্জে স্থানীয় প্রশাসন মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার আগে সতর্ক করছে। এছাড়া অচেনা বা সন্দেহজনক কোনো জলযান দেখলেই পুলিশকে খবর দিতে হবে। আর সব সময় পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখার কথা বলা হয়েছে। এদিন উপকূলরক্ষী বাহিনীর আধিকারিকেরা মৎস্যজীবীদের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলছেন। পাশাপাশি মাইকিংও চলছে।
মূলত দু’টি বিষয়ে মৎস্যজীবীদের সতর্ক করা হচ্ছে ফ্রেজ়ারগঞ্জে। এক, সকলের কাছে পরিচয়পত্র এবং মাছ ধরা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের আসল কপি রাখতে হবে। দুই, সমুদ্রে বেরিয়ে কোথাও অচেনা বা সন্দেহজনক জাহাজ দেখলে প্রশাসনকে খবর দিতে হবে। নিজে থেকে কাউকে সাহায্য করতে এগিয়ে গেলে মৎস্যজীবীরা বিপদে পড়তে পারেন বলেও সতর্ক করেছেন আধিকারিকেরা। মৎস্যজীবীদের সংগঠনের সঙ্গে উপকূলরক্ষী বাহিনীর বৈঠকে এই বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের কথা বলা হয়েছে।
এত দিন সমুদ্রে দলবদ্ধ ভাবে মাছ ধরতে গেলে মৎস্যজীবীরা অনেকে নথিপত্রের নকল কপি সঙ্গে রাখতেন। অথবা, দলের কারও কারও সঙ্গে নথিপত্র থাকলে বাকিরা কোনও কাগজ সঙ্গে রাখতেন না। সে ক্ষেত্রে তাঁরা ছাড় পেয়ে যেতেন। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সে সব মেনে নেওয়া হবে না বলে জানান আধিকারিকেরা। এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘প্রত্যেককে আসল কাগজপত্র সঙ্গে রাখতে হবে। সকলের কাগজ লাগবে। এক জনের কাছে কাগজ থাকলে বাকিরা কাগজ ছাড়া যাচ্ছেন, সেটা হবে না। কোথাও সন্দেহজনক কিছু দেখলে অবশ্যই আমাদের বা পুলিশকে জানাবেন। পরিচয়পত্র সঙ্গে নিতে হবে সকলকে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘ভারতের জলসীমা পেরিয়ে কেউ ঢুকতে চাইলে বা আপনাদের কাছে অনুরোধ করলে পুলিশকে জানাবেন। না হলে আপনারাও সমস্যায় পড়ে যেতে পারেন।’’ উল্লেখ্য, বাংলাদেশে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার পর থেকে দেশ জুড়ে অরাজক পরিস্থিতি চলেছে। বৃহস্পতিবার রাতেরবেলা মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চলছে বলে খবর এসেছে। তাই সীমান্তে বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আর মৎস্যজীবীদের মধ্যেও সেই সতর্কতা দেখা গেল।