খারিজ হলো ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনির উপর নিষেধাজ্ঞার আর্জি

Share

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নয়া দিল্লিঃ বিজেপি মানেই ‘জয় শ্রীরাম’। কিন্তু আইনজীবী এমএল শর্মা সুপ্রিম কোর্টে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি তোলার বিরোধীতায় একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন। তার অভিযোগ ছিল যে, বিজেপি নেতারা বাংলায় ধর্মের নামে ভোট চাইতে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি তোলেন। এমনকি নির্বাচনী প্রচারে যাদের ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিতে দেখা গিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেও আদালতে আর্জি জানান তিনি। কিন্তু আজ সুপ্রিম কোর্ট ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনির উপর খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট।

গত ১ লা মার্চ সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী এমএল শর্মা জানান, “জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ১২৩ ও ১২৫ ধারায় বলা আছে যে জাতপাত, ধর্মীয় স্লোগান ও সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে যদি কোনো দল অথবা প্রার্থী তার এজেন্ট কিংবা সহযোগীদের কেউ নির্বাচন প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন তবে তা অপরাধ বলে গণ্য হবে। বাংলার নির্বাচনে ধর্মীয় উস্কানি জোগাতে বিজেপি নেতারা লাগাতার তা করে চলেছেন। তাই তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া উচিত”।

মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে, বিচারপতি এএস বোপান্না এবং ভি রামসুব্রহ্মণ্যমের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি শুরু হলে সুপ্রিম কোর্ট ওই আইনজীবীর আবেদন খারিজ করে বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে যেতে বলা হয়। তা নিয়ে ওই আইনজীবী বিরোধিতা করেন। তিনি নির্বাচনী প্রচারে ধর্মীয় শ্লোগানের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যাওয়া নিয়ে প্রশ্নও তোলেন। বিষয়টি নিয়ে বুধবার আবারও শুনানির আর্জি জানানো হলে আদালত রাজি না হয়ে শেষ পর্যন্ত আবেদনটি খারিজ করে দেওয়া হয়।


শুধু তাই নয়, একই সময়ে নির্বাচন হওয়া সত্ত্বেও অসম, কেরল, পুদুচেরি এবং তামিলনাড়ুতে ১ থেকে ৩ দফার মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন হয়ে গেলেও বাংলায় কেন ৮ দফায় ভোট করতে হচ্ছে, তা নিয়ে ওই আইনজীবী আদালতে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন। তাঁর যুক্তি ছিল যুদ্ধ পরিস্থিতিও নেই। বাংলায় সন্ত্রাস হামলা হয়নি। তা সত্ত্বেও ৮ দফায় নির্বাচনের সিদ্ধান্ত সংবিধানের ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদের পরিপন্থী। তাই আদালতের কাছে নির্বাচন কমিশনকে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের জন্য আর্জি জানান। তবে শীর্ষ আদালত আবেদনকারীর যুক্তির সাথে সহমত না হওয়ায় সেই আর্জিও খারিজ করে দেওয়া হয়।


Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
June 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30