মিনাক্ষী দাসঃ এমন কিছু কিছু খাবার আছে যা একসাথে খেলে দারুণ ফলাফল পাওয়া যায়। এবং শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
ডিম-চিজ = ক্যালশিয়াম শরীরে হাড়ের গঠন শক্ত করে। আর ক্যালশিয়াম শোষণ করার জন্য ভিটামিন ডি একান্ত প্রয়োজনীয় উপাদান। এই ভিটামিন ডি ডিমের অমলেটে থাকে। তাই ডিমের অমলেটের সাথে চিজ মিশিয়ে খেলে খুব উপকার পাওয়া যায়।
কলা-দই = দইতে আছে হাইপ্রোটিন আর কলাতে আছে পটাশিয়াম। তাই দই ও কলা একসাথে খেলে পেশির গঠন সুদৃঢ় হয় এবং অ্যামিনো অ্যাসিডের অভাব পূরণ হয়।
বেরি-মিক্সড বেরি = যে কোনো ধরণের বেরি অর্থাৎ স্ট্রবেরি, ব্ল্যাকবেরি একসাথে খাওয়া হলে তা খুবই পুষ্টিদায়ক।
লেবু-পালং শাক = লেবুতে ভিটামিন সি আছে। ও পালং শাকে প্রচুর আয়রন আছে৷ আর পালং শাকের সাথে লেবু মিশিয়ে নিলে আয়রন অতি সহজে শরীর শোষণ করে। এই মিশ্রণটি অ্যানিমিয়ার জন্য অত্যন্ত উপকারী।
স্ট্রবেরি-পালং শাক = স্ট্রবেরিতে ভিটামিন সি থাকে। পালং শাকে প্রচুর পরিমাণ আয়রন থাকে। যা ক্লান্তি, পেশির দুর্বলতা, চুল পড়ে যাওয়া রোধ করে। আর আয়রন সমৃদ্ধ খাবারের সাথে ভিটামিন সি যুক্ত করলে তা আরো উপকারী।
টোম্যাটো-অলিভ অয়েল = টোম্যাটোর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, লাইকোপেন, ক্যারোটিনয়েড। এবং এর সাথে অলিভ অয়েল মেশালে টোম্যাটোর পুরো গুণ পাওয়ার পাশাপাশি কোলেস্টেরল ও ব্লাডপ্রেসার নিয়ন্ত্রণে আসবে এমনকি এটি ক্যান্সারের মতো প্রতিরোধ করে।
মাছ-কারি মশলা = মাছে DHA ও EPA ফ্যাট জাতীয় উপাদান আছে যা ক্যান্সারের মতো মারণ রোগের হাত থেকে রক্ষা করে। তবে মাছের সাথে হলুদ, ধনে, জিরে বেঁটে রান্না করলে তা হার্টের পক্ষে অনেক উপকারজনক। যার মধ্যে থেকে Omega 3 এর উপকার পাওয়া যাবে।