নিজস্ব সংবাদদাতাঃ কেরলঃ যেখানে করোনা ভাইরাসের দাপটে গোটা দেশ তথা সমগ্র বিশ্ব বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে। এমনকি করোনা ভাইরাসের প্রভাবে লকডাউনের জেরে ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থা একেবারে তলানিতে গিয়ে পৌঁছেছে। এমত পরিস্থিতিতে এবার নতুন করে আশঙ্কা ধরাচ্ছে জিকা ভাইরাস।
এই জিকা ভাইরাসের নমুনা প্রথম ভারতের কেরলে পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু এই জিকা ভাইরাস কি তা সকলেরই অজানা? তবে সূত্রের ভিত্তিতে জানা গেছে, এডিস প্রজাতির মশা থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। এছাড়া যৌন সম্পর্কের সময় একজনের শরীর থেকে অন্যজনের শরীরে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। জিকা ভাইরাসে ডেঙ্গির মতোই উপসর্গ দেখা দেয়। প্রায় এক সপ্তাহ জ্বরও থাকে তাই পরীক্ষা ছাড়া আলাদা ভাবে চিহ্নিত করা খুবই কঠিন। জিকা ভাইরাস সেরকম মৃত্যু না হলেও গর্ভস্থ শিশুর অনেক ক্ষতি হতে পারে।
চিকিত্সক সূত্রে জানা যায়, গর্ভবতী মায়েরা জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে গর্ভস্থ শিশুর ক্ষতি হয়। বিশেষ করে শিশুর মস্তিস্কের বিকাশ থমকে যায়। তাই অন্তঃসত্ত্বা মহিলারা জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে অনেকসময় সুস্থ সন্তানের জন্ম নাও দিতে পারেন।
তাই রাতে মশারি টানিয়ে ঘুমানো উচিত। মশা মারার ধূপ ব্যবহার করা উচিত। মশা যেন কোনোভাবেই কামড়াতে না পারে। তাছাড়া জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত মহিলা বা পুরুষ যেন সহবাস না করেন সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।
এখনো অবধি ভারতে জিকা ভাইরাসে কেরলের তিরুঅনন্তপুরমের পারাসালায় ২৪ বছর বয়সী এক যুবতী আক্রান্ত হয়েছেন। কেরলে আরো ১৩ জনের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সেই নমুনা পরীক্ষা করতে পুনেতে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ১৯৪৭ সালে উগান্ডার জিকা জঙ্গলে প্রথম জিকা ভাইরাস পাওয়া যায়। বানরের কাছ থেকে মানুষের দেহে জিকা ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছিল। ১৯৫২ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে এটিকে আলাদা একটি ভাইরাস হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।