অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ ঘূর্ণিঝড় যশ চলে গেলেও যশ এর চিহ্ন আজও জেলায় জেলায় অক্ষত। আর এখনো পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার বহু গ্রাম জলে ভাসমান। বহু ফসলের খেত এবং বহু মাছের ভেরি জলের তোড়ে ভেসে গেছে। ফলে চাষী ও মত্স্যজীবীদেরও কপালে চিন্তার ভাঁজ। এছাড়া শুধু এখানেই শেষ নয় এর প্রভাব বাজারে সব্জি এবং মাছের দোকানেও পড়েছে। গ্রাম হোক বা শহর কিংবা মফরসল সব জায়গায় একই চিত্র। এমনিতে লকডাউনে মানুষ কর্মহীন এর উপর বাজারে আগুন ছোঁয়া দামের ফলে মাথায় হাত আম জনতার।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায় শহর কলজকাতার গড়িয়াহাট বাজারে একদিকে যেমন ট্যাংরা, তোপসে, পারসে, ভেটকি মাছের দাম অনেক বেড়েছে। কাতলা মাছের ক্ষেত্রে কেজি প্রতি ১০০ টাকা বেশী দিতে হচ্ছে।
ঠিক অপরদিকে পাল্লা দিয়ে সব্জির দামও আকাশছোঁয়া বেড়ে গেছে। ৩০ টাকা কেজি পটল ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাল্লা দিয়ে উচ্ছে, ঝিঙে, টম্যাটো, ঢ্যাঁড়স, বেগুন সহ অন্যান্য সব্জির দামের ক্ষেত্রে কেজি প্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
সব্জি ও মাছ বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, “ঘূর্ণিঝড় যশ এর প্রভাবে যোগানের অভাব। এমনকি অনেক পাইকারী বিক্রেতারা আলাদা হয়ে গিয়ে যোগান দিতে পারছেন না। আর যারা জোগান দিচ্ছেন তারাও আগের তুলনায় বেশী দাম দিয়ে নিচ্ছেন”।
এর পাশাপাশি করোনা সংক্রমণে রাশ টানতে লকডাউনের বিধিনিষের জন্য বাজারের নির্দিষ্ট সময়-সূচীও করা হয়েছে তাতে অনেকটা সময় কমে গেছে। এরফলে বিক্রেতারা চাইছেন যত দ্রুত সম্ভব ক্রয়ের টাকাটা তুলে লাভটা বুঝে নিতে না হলেই পুলিশের মারধরের ভয় থাকছে। তারফলে চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছেন সাধারণ মানুষ।