স্বামীর পরকিয়ার প্রতিবাদ করায় খুন স্ত্রী
দীপঙ্কর গোস্বামীঃ মালদাঃ শোবার ঘরের মেঝেতে এক বধূর দেহ উদ্ধারকে ঘিরে রহস্যের দানা বেঁধেছে। মেয়ের বাপের বাড়ির তরফে বধূর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ তোলা হয়েছে। ঘটনার পরে শ্বশুরবাড়ির লোকজন বধূর দেহ ফেলে কেন পালিয়ে গিয়েছেন এনিয়ে প্রশ্ন বাসিন্দাদের। গতকাল ঘটনাটিকে ঘিরে মালদা জেলার চাঁচল থানার সেরবাবর গ্রামে চাঞ্চল্য ছড়ায়।
বধূর বাপের বাড়ির লোকজনদের অভিযোগ, “গ্রামেরই পূর্বপাড়ার রেজ্জাক আলির সঙ্গে ১৯ বছর বয়সী তাদের মেয়ে মোশরেফার বিয়ে হয়। রেজ্জাক দিনমজুরী করে। তাদের দেড় বছরে বছরের এক পুত্র সন্তানও সন্তান রয়েছে। জামাইয়ের পরকিয়ার প্রতিবাদ করায় দীর্ঘদিন ধরেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেয়েকে নির্যাতন এবং মারধর অত্যাচার চালাত। এই সমস্যা সূরাহার জন্য গ্রামের মোড়লদের নিয়ে একাধিকবার সালিশী সভা করা হলেও সমস্যা মেটেনি”।
ভাই বানিজুদ্দিন জানিয়েছে, “দীর্ঘদিন ধরে পরকিয়ার প্রতিবাদ করায় বোনকে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা খুন করে মারলো”।

- Sponsored -
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে স্থানীয়রা তাদের বাড়িতে দেখতে পান যে মেঝেতে ওই বধূ পড়ে রয়েছে। এরপরেই চেঁচামেচি শুরু হয়। কিন্তু তার আগেই মৃতা বধূর শ্বশুরবাড়ির সবাই বাড়ি ত্যাগ করে পলায়ন করেছে।
বধূর পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরই পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে। ঘরে বাঁশের মধ্যে একটি বধূর ওড়না ছিল। বধূর আত্মহত্যার আতঙ্কে শ্বশুরবাড়ির লোকজন পালিয়ে যেতে পারে বলে পুলিশ প্রাথমিক অনুমান করছেন। বধূর বাপের বাড়ির লোকজনের দাবী, “এই ঘটনায় তাদের মেয়েকে খুন করে মারা হয়েছে”।
এই ঘটনাটি খুন না আত্মহত্যা তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে বলে জানিয়েছেন চাঁচল থানার পুলিশ।