মিনাক্ষী দাসঃ উত্তর চব্বিশ পরগণাঃ প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে তৃণমূল বনাম বিজেপি সংঘর্ষ। ফলে রাজ্য জুড়ে পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে উঠেছে।
এবার উত্তর চব্বিশ পরগণার নৈহাটিতে ফের বিজেপি কর্মীর ওপর গুলি চালানো সহ মাথায় চপার দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, একটি পুজোর অনুষ্ঠান থেকে ফেরার সময় মিঠুন পাশওয়ান নামের এক বিজেপি কর্মীকে প্রায় ৫০ জন ব্যক্তি ঘিরে ফেলে। এছাড়া মিঠুনকে লক্ষ্য করে ওই দুষ্কৃতীরা চার রাউন্ড গুলি চালায়। এরপর তার মাথায় চপার দিয়ে কোপায় বলে অভিযোগ ওঠে। যার ফলে সে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।

- Sponsored -
খবর পেয়ে নৈহাটি বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী ফাল্গুনী পাত্র ঘটনাস্থলে ছুটে যান। গুরুতর আহত অবস্থায় আহত মিঠুনকে প্রথমে নৈহাটির স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় দ্রুত তাকে কল্যাণীর জহরলাল নেহেরু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি প্রার্থী ফাল্গুনী পাত্র জানান, “বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমাদের কার্যকর্তাদের ভয় দেখাচ্ছে, বোমাবাজি করছে যাতে কেউ ভোট দিতে না পারেন। দলের সক্রিয়তা কমে যায়। এই ঘটনার বিষয় আমরা পুলিশ ও নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েও কোনো সমস্যার সমাধান হয়নি”।
এই ঘটনার বিষয়ে গুলিবিদ্ধ মিঠুনের দাদা জিতেন্দ্র পাশওয়ান তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। তিনি জানিয়েছেন, “এর আগেও বিজেপি করার অপরাধে বহুবার মিঠুনকে খুন করার চেষ্টা হয়েছে। তৃণমূল থেকে বারবার ডাকা হলেও মিঠুন যেতে চাননি। তাই এদিন পুনরায় মিঠুনকে খুন করার চেষ্টা হয়েছে”।
কিন্তু স্থানীয় তৃণমূল নেতা এই ঘটনাকে পুরোপুরি অস্বীকার করে বিজেপির গোষ্ঠী দ্বন্দ্বকেই দায়ী করেছে। তাই এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনোরকম যোগ নেই”।