মিনাক্ষী দাসঃ উত্তর চব্বিশ পরগণাঃ আজ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তর চব্বিশ পরগণার বসিরহাট লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলামের সমর্থনে সভা করতে গিয়েছিলেন। ওই সভা থেকে জানান, ‘‘সন্দেশখালি নিয়ে অনেক রাজনীতি হয়েছে। কিন্তু আজকে আর কোনো দল সন্দেশখালিতে যাচ্ছে না কেন? কারণ, শেখ শাহজাহান গ্রেফতার হয়ে গিয়েছে। আর শেখ শাহজাহানকে কোনো ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) অথবা সিবিআই (সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেসন) গ্রেফতার করেনি।
করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। যেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশই সুদীপ্ত সেনকে ধরেছিল। এছাড়া সন্দেশখালিতে শিবু হাজরা ও উত্তম সর্দারের বিরুদ্ধে যে নারী নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল। সেক্ষেত্রে পনেরো দিন কেটে গেলেও এখনো অবধি তাদেরকে সিবিআই হেফাজতে চাইল না কেন সেই প্রশ্নও তুলেছেন?’’ এই শিবু হাজরা এবং উত্তম সর্দার দু’জনেই স্থানীয় স্তরের তৃণমূল নেতা ছিলেন। আর ‘শাহজাহানের লোক’ বলে পরিচিত ছিলেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
পাশাপাশি আরো বলেন যে, ‘‘তৃণমূল কাউকে রেয়াত করে না। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, শাহজাহান— কাউকে নয়। কেউ যদি ভাবে পঞ্চায়েতে জিতেছে বলে মানুষের সাথে দুর্বব্যহার করবে, সাপের পাঁচ পা দেখবে, তা হলে তৃণমূল তা বরদাস্ত করে না।’’ আর বিজেপির যে নেতাদের বিরুদ্ধে নারী নিগ্রহ সহ ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে, তাদের বিষয়ে পদ্মশিবির কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করে না। এই প্রসঙ্গেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কুলদীপ সেঙ্গর, ব্রিজভূষণ শরণ সিংহ, কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পার কথা উল্লেখ করেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
এই সন্দেশখালি নিয়েই রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়ে উঠেছিল। তারপর এই প্রথম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বসিরহাটে গেলেন। আর যে সময়ে সন্দেশখালি উত্তপ্ত তখন তিনি বলেছিলেন, ‘‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আসবেন।’’ আপাতত এখানে তেমন কোনো অশান্তির ঘটনা ঘটেনি। তবে যখন এখানে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ জমি লুটের অভিযোগ তুলেছিল, তখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক ও সুজিত বসু দফায় দফায় গিয়েছিলেন। অভিযোগ নিয়ে জমি লিজের টাকা ফেরতেরও বন্দোবস্ত করেছিলেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here