নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ‘যশ’ বাংলার স্থলভূমি থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করে আছে। কিন্তু সমুদ্র ক্রমশই উত্তাল হয়ে উঠছে। ফলে পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলবর্তী এলাকায় বাঁধ টপকে সাগরের নোনা জল হু হু করে ঢুকতে শুরু করেছে। এর পাশাপাশি দক্ষিন চব্বিশ পরগনাতেও জোয়ারের জল একাধিক নদীবাঁধ টপকে অথবা নদীবাঁধের গায়ে থাকা ফাটল জলের তোড়ে ভেঙে গ্রামের ভিতরে ঢুকতে শুরু করেছে। যদিও প্রশাসনিক আধিকারিকদের পক্ষ থেকে নীচু ও বিপজ্জনক এলাকা থেকে মানুষজনকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ প্রায় শেষ হয়ে গেছে কিন্তু আতঙ্ক কাটছে না গ্রামবাসীদের।
এদিন সকাল থেকেই দক্ষিনবঙ্গের একাধিক জেলায় ঝোড়ো হাওয়া সহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় জোয়ার শুরু হতেই দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুরের সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠেছে।
https://www.youtube.com/watch?v=zS3U23ayMzY
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
একদিকে কাঁথি মহকুমার বেশ কয়েকটি এলাকায় বাঁধ ছাপিয়ে গ্রামে সাগরের নোনা জল ঢুকতে শুরু করেছে। জেলার রামনগর ১ নম্বর ব্লকের জামড়ার শ্যামপুর কাইমা গ্রামে সমুদ্রের বাঁধ উপচে গ্রামের মধ্যে জল ঢুকতে শুরু করেছে। খবর পেয়ে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা ঘটনাস্থলেও পৌঁছেছে। ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শম্পা মহাপাত্র জানিয়েছেন, “সোমবার রাতেই তাজপুর, জলধা সহ সমুদ্র তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই সমুদ্রে ব্যাপক জলোচ্ছ্বাস শুরু হওয়ায় জামড়া, শ্যামপুর, তাজপুর ইত্যাদি এলাকার সমুদ্র বাঁধ টপকে অনেক জায়গায় জল গ্রামে ঢুকছে। তবে রাস্তা কেটে জল বার করে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এলাকার বাসিন্দাদেরও দ্রুত সরানো হয়েছে”।
Sponsored Ads
Display Your Ads Herehttps://www.youtube.com/watch?v=ggnFR6bsRE8
অপরদিকে দক্ষিন চব্বিশ পরগনায় সুন্দরবন এলাকায় একাধিক নদীতে জলোস্ফীতি ঘটতে শুরু করে। এর জেরে ক্যানিং, বাসন্তী, গোসাবা এবং পাথরপ্রতিমার অসংখ্য গ্রামের পাশে থাকা নদীবাঁধ হয় জলের চাপে ভেঙে গ্রামের ভিতরে জল ঢুকতে শুরু করে দিয়েছে। সাগর ব্লকেরও বেশ কিছু জায়গায় সমুদ্রের জল ঢুকতে শুরু করে দিয়েছে। তারফলে জেলার বিস্তীর্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereঅর্থাৎ সময় যতো এগিয়ে যাচ্ছে পরিস্থিতি ততোই ভয়াবহ হয়ে উঠছে।