ব্যুরো নিউজঃ ইতিমধ্যেই বিশ্বের প্রায় অনেক দেশেই কোভ্যাক্সিনের টীকাকরণ শুরু হয়ে গেছে। এই সপ্তাহে ফ্রান্স, কানাডা, জার্মানি, ব্রিটেন, আমেরিকা, ইজরায়েল ও নেদারল্যান্ডসের মতো দেশে টীকাকরণ শুরু হয়েছে। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO (World Health Organization)-র প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন বলছেন, “টীকা এলেও এখনই ‘হার্ড ইমিউনিটি’ তৈরি হবে না। কিন্তু দুর্বলদের সুরক্ষার চিন্তা করেই টীকার প্রয়োগ শুরু হলেও ২০২১ সালের মধ্যে সমগ্র বিশ্ব জুড়ে গোষ্ঠীবদ্ধ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলা কোনোভাবেই সম্ভব হবে না”।
WHO-র ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাসের পরামর্শদাতা ডাক্তার ব্রুস এলওয়ার্ড বলেছেন যে, “রাষ্ট্রপুঞ্জের স্বাস্থ্য সংস্থা আশা করছে যে জানুয়ারীর শেষের দিকে বা ফেব্রুয়ারীর শুরুতে বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলিতেও করোনার টীকা পৌঁছে যাবে। এছাড়া সকলে যাতে টীকা পায় সেজন্য গ্লোবাল কমিউনিটির কথা বলা হচ্ছে”।
WHO-র টেকনিক্যাল লিড মারিয়া ফান কেরকোভ জানিয়েছেন যে, “সম্প্রতি বহু দেশে করোনা সংক্রমণের হার উর্ধ্বমুখী হওয়ার অন্যতম কারণ মানুষের মেলামেশার পদ্ধতিতে বদল আনা। আর আমরা যুদ্ধে হেরে গিয়েছি কারণ আমরা গ্রীষ্মকালে এবং বিশেষত ক্রিসমাসে ও নতুন বছরে মানুষের মেলামেশা অনেক বাড়ার ফলে বহু দেশেই করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে”।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereতাই এই বিষয়ে WHO-এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, টীকাকরণ শুরু হলেও করোনা সংক্রান্ত সবরকম বিধি-নিষেধ মেনে চলতে হবে। হাত ধোওয়া, মাস্ক পরা, দূরত্ব বজায় রাখার মতো বিষয়গুলি অবশ্যই মেনে চলা বাধ্যতামূলক করতে হবে।