ওয়েব ডেস্কঃ শীতকালেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পরিযায়ী পাখিদের সমাগম দেখা যায়। পরিযায়ীদের আগমনে প্রকৃতি আরো অপরূপ সৌন্দর্যে ভরে ওঠে। আচমকাই হিমাচল প্রদেশের কাংরা জেলার পং ড্যাম হ্রদের আশেপাশে অদ্ভুতভাবে মৃত্যু হল ১৭০০ টি পরিযায়ী পাখির। এদের অধিকাংশকেই মধ্য এশিয়ার পার্বত্য অঞ্চলে জলাশয়ের আশেপাশ দেখা যেত।
এই ঘটনার ফলে প্রশাসন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আপাতত ওই এলাকায় পর্যটন বন্ধ করে দিয়েছে। মৃত ১৭০০ টি পাখির মধ্যে বেশিরভাগ পাখি বার হেডেড গিজ বা মাথায় কালো দাগওয়ালা হাঁস ছিল।
কাংরার জেলাশাসক রাকেশকুমার প্রজাপতি বলেছেন, “আপাতত পং রিজারভয়ার এলাকার এক কিমির মধ্যে কাউকে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। এই ৯ কিমি ব্যাসার্ধ জুড়ে রাখা হয়েছে কড়া নজরদারির ব্যবস্থা। ২০০৫ সালের বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের ৩৪ ধারা প্রয়োগ করে দেহরা, জাওয়ালি, কাংরার ফতেপুর ও ইন্দোরা সাবডিভিশন সংলঘ্ন এলাকায় মাছ, ডিম, মাংস সব বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে”।
স্থানীয় প্রশাসন মনে করেছিলেন বার্ড ফ্লুর প্রভাবে পরিযায়ী পাখিদের মৃত্যু হয়েছে। তাই বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিতকরণের জন্য উত্তরপ্রদেশের বরেলিতে অবস্থিত ইন্ডিয়ান ভেটেরিনারি রিসার্চ ইনস্টিটিউটে মৃত পাখিদের নমুনা পাঠানো হয়েছিল। নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে জানা গেছে এটি বার্ড ফ্লু বা অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা।
সাধারণত এইচ৫এন১ ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের প্রভাবে পাখিদের মধ্যে শ্বাসযন্ত্রের রোগের প্রভাবে বার্ড ফ্লু বা অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা হয়ে থাকে। ইতিমধ্যেই দেশের কেরল, রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশে অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার ঘটনা দেখা দিয়েছে।