নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ত্রিপুরাঃ বিজেপি ও সিপিএমের সংঘর্ষকে ঘিরে ফের উত্তপ্ত ত্রিপুরা। সোমবার মানিক সরকারের বিধানসভা কেন্দ্র ধনপুরের পর আজ আবার উদয়পু্রে বিজেপি এবং সিপিএমের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে বহু কর্মী জখম হয়েছেন। সিপিএমের পার্টি অফিস সহ সংবাদমাধ্যমের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
একটি ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে, সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের ঝান্ডা মুড়ে সেই ডান্ডা দিয়ে এক বিজেপি কর্মীকে রাস্তায় ফেলে পেটানো হচ্ছে। ওই বিজেপি কর্মীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
সূত্রের ভিত্তিতে জানা গেছে, এদিন ডিওয়াইএফআই ও টিওয়াইএফের কাজ সহ ১৪ দফা দাবী নিয়ে উদয়পুরে মিছিল এবং সমাবেশ করার পরিকল্পনা ছিল। তাই বাম কর্মীরা উদয়পুরে সিপিএমের মহকুমা অফিসে জমায়েত হতে শুরু করেন। বিজেপিও পাল্টা জমায়েত করে। সিপিএম অফিসে ভিড় বাড়তে থাকায় বিজেপিও জমায়েত বাড়িয়ে দেয়। একটা সময় বিজেপি কর্মীরা সিপিএম দপ্তরে পৌঁছে যান।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
এক বাম ছাত্রনেতা বলেন, “প্রথমে নেতারা আজকে কর্মসূচী করতে নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু কর্মীরা নেতাদের সাফ জানিয়ে দেন, কর্মসূচী হবেই। তাতে যদি সংঘর্ষ হয় তাই হবে”। এরপর পার্টি অফিস থেকে সিপিএমের জমায়েত রাস্তায় নেমে আসে। বিজেপির লোকজনকে তাড়া করে। এমনকি একজন বিজেপি কর্মীকে একা পেয়ে ব্যাপক মারধর করে। ইতিমধ্যেই যে ভিডিও ভাইরাল।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
সিপিএমের দাবী, বিজেপির ছোড়া ইটের ঘায়ে তাদেরও এক কর্মীর মাথা ফেটে গিয়েছে। তবে সিপিএমের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলে বিজেপির বক্তব্য, “উদয়পুরে লাল সন্ত্রাস চলেছে। যাদের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে তারা গায়ের জোরে ভয়ের পরিবেশ তৈরী করতে চাইছে”।
পাল্টা বামেরা প্রতিক্রিয়াস্বরূপ মন্তব্য করেন যে, “বিজেপি কাজের দাবীতে শান্তিপূর্ণ যুব আন্দোলনকে তিন দিক থেকে ঘিরে ফেলে হামলার ছক করেছিল। কর্মীরা তার প্রতিরোধ করেছে”। একজন সিপিএম নেতা বলেন, “প্রশাসন নীরব থাকার কারণেই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। প্রশাসন চাইলে আগেই বিজেপির জমায়েতকে সরিয়ে দিতে পারতো”।
অবশ্য পুরো ঘটনাটিতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আজ উদয়পুরে আজকে বামেদের কর্মসূচী পূর্ব নির্ধারিত ছিল। আগাম জানা সত্ত্বেও প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়নি কেন তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। বিজেপি ধনপুরেও সিপিএমের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলেছিল।