পিঙ্কি পালঃ দক্ষিণ চব্বিশ পরগণাঃ আর মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই গঙ্গাসাগর মেলা শুরু হচ্ছে। ফলে দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার তরফে পুণ্যার্থীদের স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে ইতিমধ্যেই সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
গতকাল ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তথা সাগর মেলার নোডাল অফিসার জয়ন্তকুমার সুকুল সাংবাদিক বৈঠকে জানান, “মেলা প্রাঙ্গণ, চিমাগুড়ি, কচুবেড়িয়া ঘাট, নামখানার নারায়ণপুর ও লট-৮ ঘাটে পাঁচটি অস্থায়ী হাসপাতাল থাকছে। যেখানে সব মিলিয়ে একশোটি শয্যার ব্যবস্থা থাকছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
আর মেলা প্রাঙ্গণে অস্থায়ী হাসপাতালে পাঁচ শয্যার সিসিইউ (ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিট) এবং ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে। এছাড়া ডায়মন্ড হারবার ও কাকদ্বীপ হাসপাতালে সিসিইউর ব্যবস্থা থাকছে। সব মিলিয়ে মেলা উপলক্ষে ত্রিশ শয্যার সিসিইউ রাখা হচ্ছে। শিশুদের চিকিৎসার জন্য কাকদ্বীপ, সাগরদ্বীপ এবং ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে আলাদা পঞ্চাশটি শয্যা থাকছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
আর জোকা থেকে সাগরদ্বীপ অবধি বিভিন্ন সরকারী হাসপাতালে ২৬০টি শয্যা পুণ্যার্থীদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হচ্ছে। এবার মেলা উপলক্ষ্যে ৭৫৮ জন স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসক থাকবেন। এদের মধ্যে একশো জন মেডিকেল অফিসার এবং ৩৮ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। অসুস্থ পুণ্যার্থীদের হাসপাতালে পৌঁছে দিতে ৭৫টি অ্যাম্বুলেন্স তৈরী রাখা হচ্ছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
আধুনিক সুবিধাযুক্ত পাঁচটি অ্যাম্বুলেন্সও সাগরদ্বীপ ও লট-৮ ঘাটে মোতায়েন থাকবে। একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সও থাকছে। পুণ্যার্থীদের বিশ্রাম নেওয়ার জন্য চোদ্দটি বাফার জোন খোলা হয়েছে। পাশাপাশি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে দ্রুত ময়নাতদন্ত করা হবে। সে জন্য সাগর গ্রামীণ হাসপাতালে আলাদা ব্যবস্থা হয়েছে।
আর এবার গঙ্গাসাগর মেলায় রেকর্ড সংখ্যক পুণ্যার্থী আসতে পারেন। তাই মেলায় এসে যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারেন, সেজন্য সমস্ত রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমরা যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য তৈরী আছি।”