অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কারণে নিজের স্ত্রীকে গলা টিপে প্রাণে মেরে ফেলে থানায় গিয়ে হাজির স্বামী। কলকাতার চিতপুরের বীরপাড়া মনীন্দ্র রোডে এই ঘটনাটি ঘটেছে। মৃতার নাম মুনমুন দাস ও অভিযুক্ত স্বামীর নাম সঞ্জয় দাস।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল ১০ টা নাগাদ সঞ্জয়বাবু চিত্পুর থানায় হাজির হয়ে জানায় যে সে স্ত্রীকে গলা টিপে মেরে ফেলেছে। এরপরই পুলিশ সঞ্জয়বাবুকে নিয়ে তাদের বাড়িতে গিয়ে দেখে যে মুনমুনের দেহ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আছে। গলায় আঘাতের চিহ্নও রয়েছে। তারপর পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে আরজিকর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে সঞ্জয়বাবুকে গ্রেপ্তার করেছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
পুলিশের প্রাথমিক ভাবে মনে করছেন, শ্বাসরোধ করেই খুন করা হয়েছে। এছাড়া সঞ্জয়বাবু পুলিশকে বলেছেন, সে স্ত্রীকে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের সন্দেহেই খুন করেছে। প্রতিবেশীদের সূত্রে আরো জানা গিয়েছে, মুনমুন এলাকায় একটি কেকের দোকানে কাজ করতেন। আর সঞ্জয় দাস পেশায় একজন অটোচালক। ২১ বছরের দাম্পত্য জীবনে ১৮ বছর বয়সী ছেলেও রয়েছে। তাছাড়া পরিবারে তেমন কোনো অশান্তি না থাকলেও কিছুদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর অশান্তি চলছিল।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
এদিকে মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে বাপের বাড়ির সদস্যরা ছুটে আসেন। মুনমুনের বোন জানিয়েছেন, “সকালে চিত্পুর থানা থেকে ভাইয়ের কাছে ফোন যায় যে তাদের দিদি আত্মহত্যা করেছেন তাই আরজিকর হাসপাতালে হবে। এরপরেই দিদির বাড়িতে এসে জানা যায় দিদি টিফিন বক্সে খাবার নিয়ে কাজের জন্য বের হওয়ার সময় এই ঘটনা ঘটেছে”।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
এই খুন বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের সন্দেহে না এই খুনের পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে তা পুলিশের তরফ থেকে পুরোপুরি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এমনকি পরিবারের সদস্য সহ পারিপার্শ্বিক বাসিন্দাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই ঘটনায় মৃতার পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।