ফাগলি উৎসবে মেতে উঠেছে গোটা হিমাচল

Share

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ হিমাচল প্রদেশঃ ভারতবর্ষ এক বৈচিত্র্যপূর্ণ দেশ। যেখানে নানা জাতির নানা ধর্মের মানুষ বাস করেন। তাই বিভিন্ন রাজ্যের মানুষ নিজ নিজ সংস্কৃতি অনুযায়ী নানা ধরণের উৎসব পালন করে থাকেন। যার মধ্যে বেশ কিছু উৎসব অত্যন্ত ঐতিহ্যপূর্ণ।

তেমনই ফাল্গুন মাসে হিমাচল প্রদেশের বিভিন্ন গ্রামে ফাগলি নামক এক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। যা প্রায় ৬০০ বছরের পুরনো। এই উৎসব হিমাচলি সংস্কৃতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বসন্ত ঋতুর শুরুর সময় থেকেই হিমাচল প্রদেশ জুড়ে এই উৎসব পালন শুরু হয়ে যায়।


এই উৎসবের মূল তাৎপর্য বিষয় হল মন্দের ওপর ভালোর জয়। এই উৎসব শয়তানের ওপর জয়ের আনন্দকে উপস্থাপনা করে। তাই এখানে সবাই শয়তানের মুখ আঁকা কাঠের তৈরী মুখোশ পরে। মুখোশগুলিও হিমাচলি আদলে তৈরী হয়। আর যে শয়তানের মুখোশগুলি ব্যবহার করা হয়, তা বারণকে উৎসর্গ করা হয়।


এই উৎসবে গ্রামবাসীরা ডেভিলের মাস্ক পরে আগুন জ্বালিয়ে একসাথে নাচ-গান করেন। হিমালয়ের ঠান্ডায় হিমাচলি ড্রামের আওয়াজে গ্রামের পর গ্রাম কেঁপে ওঠে।


এই উৎসবকে কেন্দ্র করে মানুষের মধ্যে নানাপ্রকার রীতি ও কাহিনী প্রচলিত রয়েছে। নেতিবাচক শক্তিকে দূর করার জন্য আগুন জ্বালানোর প্রথা রয়েছে। কারণ হিমাচলিরা মনে করেন, এই আগুনের মাধ্যমে তাদের জীবন থেকে নেতিবাচক শক্তি দূর হয়ে যায় এবং ইতিবাচক শক্তির সঞ্চার ঘটে।

এই উৎসবের আরেকটি তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হলো যে, নতুন শস্য উঠলে তা ভগবানকে উৎসর্গ করা হয়। যদিও এই রীতি ভারতের বিভিন্ন স্থানে প্রচলিত রয়েছে। কিন্তু ফাগুলি উৎসবে যে কাঠ পোড়ানো হয় তাকে বলা হয় সুস্কার হোরিং। এই কাঠের সাথে বার্লি রোস্ট করা হয়।

হিমাচলি টুপি, কাঠের তৈরী মুখোশ, ঐতিহ্যবাহী পোশাক সহ হলুদ ফুলের মালা সব মিলিয়ে গ্রাম্বাসীরা উৎসবের রঙে মেতে ওঠে। এই লুককে হিমাচলের ভাষায় মান্দালি বলা হয়। এই অসাধারণ রংবাহারি উৎসব দেখতে এখানে বহু পর্যটক ভিড় জমান।

Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
September 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930