নিজস্ব সংবাদদাতাঃ আসামঃ আসামে বন্যা পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির পথে এগোচ্ছে। গতকাল তিন শিশু সহ মারা গেলেন আট জন। আর এখনো অবধি বন্যায় ১৫৯ জন মারা গিয়েছেন। যার মধ্যে ১৪১ জন জলে ডুবে মারা গিয়েছেন। আর ধসের জন্য ১৮ জন ধ্বংসস্তূপ চাপা পড়ে মারা গিয়েছেন।
একটানা বর্ষণের জেরে পঁচিশটি জেলার দু’হাজার ছ’শো আটটি গ্রাম একেবারে বিপর্যস্ত। সেখানে তিরিশ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। মরিগাঁও জেলার কয়েকটি গ্রামের অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়েছে। ঘরের চালও ডুবে গিয়েছে। হাজার হাজার মানুষ ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়কে আশ্রয় নিয়েছেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
এখনো পর্যন্ত বন্যায় অসমের কাছাড়, বাজালি, ডিব্রুগড়, বরপেটা, বিশ্বনাথ, গোয়ালপাড়া ও ডিমা হাসাও সহ বহু জেলা জলের নীচে। কাছাড় সব থেকে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে চোদ্দ লক্ষ বত্রিশ হাজার মানুষের জীবন বিপন্ন। বাইশটি জেলায় পাঁচশোটি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
সেখানে তিন লক্ষ পাঁচ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। ছিয়াত্তর হাজার একশো পনেরোটি হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। ফলে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার ঘোষণা করেছেন যে, ‘‘যারা ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন সেই প্রতিটি পরিবারকে ৩ হাজার ৮০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereআর বন্যার যে সব পড়ুয়ার বইখাতা নষ্ট হয়েছে তাদেরও হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।’’ এদিকে মাটিপর্বত গ্রামের বাসিন্দা শ্যাম বাহাদুর বলেন, ‘‘গ্রামে খাবার বা পানীয় জল নেই। কোনো নৌকাও নেই। কলার ভেলাই ভরসা। মাঝেমধ্যে সরকারী ত্রাণ এসে পৌঁছায়। তাই অন্তত ত্রাণ দেওয়ার আর্জি জানানো হচ্ছে।’’