চয়ন রায়ঃ কলকাতাঃ এবার থেকে আর সংসদের ক্যান্টিনে সস্তায় খাবার পাওয়া যাবে না। মাননীয় সকলকেই প্রায় বাজারসম মূল্যেই খাবার কিনে খেতে হবে। আগামী ২৯ শে জানুয়ারী বাজেট অধিবেশন শুরুর দিন থেকেই খাবারের নতুন দাম শুরু হয়ে যাবে।
এই প্রসঙ্গে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা জানিয়েছেন, “লোকসভার সচিবালয় ক্যান্টিনের খাবারের ওপর থেকে ভর্তুকি বন্ধ করে দেওয়া হবে”।
সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা যায়, ২০১৯ সালে ক্যান্টিনের ভর্তুকি বাবদ ১৩ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল। লোকসভা ও রাজ্যসভার মোট সাংসদ সংখ্যা ৭৯০ জন হলেও অধিবেশন চলাকালীন প্রতিদিন প্রায় ৩ হাজার মানুষ সংসদের ক্যান্টিনে খান। তবে খাবারের এই দাম বাড়ানোর ফলে সংসদের কমপক্ষে ৮ কোটি টাকা লাভ হবে। এবার সংসদে উত্তর রেলের জায়গায় ITDC ( India Tourism Development Corporation) ক্যান্টিনের দায়িত্ব নেবে।
সচীবালয়ের ক্যান্টিনের মেনুতে এখন সবথেকে সস্তা খাবার ৩ টাকা দামের চাপাটি। আর নন ভেজ খাবারের সবথেকে বেশি দাম।এই নন ভেজ খেতে ৭০০ টাকা ও নিরামিষ খাবারে ৫০০ টাকা দাম লাগবে।
সচীবালয়ের ক্যান্টিনে যে নিরামিষ থালি ৩০ টাকায় পাওয়া যেত এবার থেকে সেই থালির দাম ১০০ টাকা। খিচুরি এবং সেদ্ধ সবজির প্লেটেরও দাম ৫০ টাকা হয়েছে। রুটির দাম ১ টাকার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৩ টাকা হয়েছে। মটন বিরিয়ানির দাম ৬৫ টাকার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১৫০ টাকা হয়েছে। মটন কারির দাম ১২৫ টাকা। মটন কাটলেটের দাম ১৫০ টাকা। চিকেন বিরিয়ানির দাম ১০০ টাকা, দুই টুকরো চিকেনের দাম ৭৫ টাকা। স্যালাডের দাম ৩০টাকা। দক্ষিণী খাবার যেমন ইডলির দাম ২৫ টাকা। মশলা ধোসার নতুন দাম ৫০ টাকা।