নিজস্ব সংবাদদাতাঃ হাওড়াঃ পাওনার ৪০০ টাকা চেয়ে এক খদ্দেরের মারে চোখ ‘হারালেন’ দোকানমালিক। হাওড়ার শিবপুর থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে ট্রাম ডিপোর কাছের ঘটনা। ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রের খবর, শিবপুর ট্রাম ডিপোর কাছে একটি পান-বিড়ির দোকান চালান মুক্তিরাম দাস নামে এক ব্যবসায়ী। আদতে ওড়িশার বাসিন্দা মুক্তিরাম দীর্ঘ দিন ধরে হাওড়ার বাসিন্দা। আর শিবপুর পিএম বস্তি এলাকার বাসিন্দা জনৈক মহম্মদ ফয়জ়ল প্রায়ই মুক্তিরামের দোকানে আসতেন। অভিযোগ, তিনি বেশ কিছু দিন ধরে ওই দোকান থেকে সিগারেট এবং ঠান্ডা পানীয় খেয়েছেন। তবে টাকা মেটাননি। প্রতি দিন জিনিস কেনার শেষে বলেছেন, পরের দিন টাকা দেবেন। এই ভাবে প্রায় ৪০০ টাকা ধার হয়েছিল তাঁর। তার পর থেকে নাকি বেশ কিছু দিন আর মুক্তিরামের দোকানে যাননি ফয়জল।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
তবে গত বুধবার রাতে ফয়জ়ল আবার ওই দোকানে যান। আবার একটি ঠান্ডা পানীয়ের বোতল এবং সিগারেট চান। কিন্তু দোকানদার বলেন, ধার না মেটালে নতুন করে তিনি আর জিনিস দেবেন না। এই নিয়ে দু’পক্ষের বচসা শুরু হয়। অভিযোগ, ওই ঝগড়ার সময় আচমকা একটি ঠান্ডা পানীয়ের বোতল ভেঙে তার মুক্তিরামের মুখে আঘাত করেন ফয়জ়ল। যন্ত্রনার চোটে মাটিতে পড়ে ছটফট করতে থাকেন দোকানদার। স্থানীয়েরা তাঁকে উদ্ধার করেন। নিয়ে যাওয়া হয় হাওড়া জেলা হাসপাতালে। কিন্তু সেখানকার চিকিৎসকেরা জানান, মুক্তিরামের বাঁ চোখ মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
জখম ব্যক্তিকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তর করেন তাঁরা। মুক্তিরামের পরিবার সূত্রের খবর, কলকাতার একটি হাসপাতালে তার বাঁ চোখে অস্ত্রোপচার হয়। কিন্তু তার পরেও ওই চোখে তিনি দেখতে পাচ্ছেন না। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ওই দোকানদার বাঁ চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। ওই ঘটনার পর শিবপুর থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করে আক্রান্তের পরিবার। পুলিশ তদন্ত নেমে ফয়জ়লকে গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্ত তাঁর দোষ কবুল করেছেন বলে খবর। অন্য দিকে, চিকিৎসার জন্য ওড়িশা নিয়ে যাওয়া হয়েছে মুক্তিরামকে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here