নিজস্ব সংবাদদাতাঃ দুর্গাপুরঃ দুর্গাপুরের কাঁকসার মলানদীঘির একটি বেসরকারী মেডিকেল কলেজের হস্টেল থেকে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীর দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃতের নাম সুপ্রিয়া কোটাল। বয়স ২৩ বছর।
সহপাঠীরা বলছেন, যখন তাঁরা এই যুবতীকে দেখেন তখন গলায় জড়ানো ওড়না। ওই অবস্থাতেই ঝুলছিল সিলিং থেকে। অনেকেই বলছেন আত্মহত্যা করেছেন ওই ছাত্রী। তবে মৃত্যুর কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না মৃতার পরিবারের সদস্যরা। মলানদিঘির ওই বেসরকারি মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের নার্সিং পড়ুয়া ছিলেন সুপ্রিয়া। তাঁর আচমকা মৃত্যুতে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে ক্যাম্পাসে। হস্টেলের অতিরিক্ত সুপার ডা: রাজশ্রী গুপ্ত জানাচ্ছেন, এদিন দুপুর সাড়ে ১২ টা নাগাদ হস্টেলের কয়েকজন পড়ুয়া জানায় সুপ্রিয়ার রুমের দরজা বন্ধ রয়েছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকি করেও তাঁর কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। শেষে ভেঙে ফেলা হয় দরজা। দরজা ভাঙতেই দেখা যায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না জড়িয়ে ঝুলছেন সুপ্রিয়া। দ্রুত উদ্ধার করে ডাক্তারদের কাছে নিয়ে গেলে তাঁরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। সুপ্রিয়ার বাড়ি পাণ্ডবেশ্বরে। বাবা মোহিত কোটাল ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। মেয়ের মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া পরিবারে। সুপ্রিয়ার মা মহুয়া কোটাল বলছেন, বেলা একটা নাগাদ হস্টেল থেকে ফোন করে জানানো হয় মেয়ে আইসিইউতে ভর্তি আছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
কিন্তু কী কারণে ভর্তি আছে তা জানানো হয়নি। হাসপাতালে এসে দেখেন মেয়ে মারা গিয়েছে। তাঁদের বলা হয় মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু, তা মানতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের দাবি, ফাঁস দিয়ে আত্মহত্য়া করলে গলায় দাগ থাকতো। কিন্তু তাঁরা কোনও দাগ দেখতে পাননি। অন্যদিকে কাঁকসা থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। মৃত্যুর ধোঁয়াশা কাটাতে সকলের নজর রিপোর্টের দিকেই।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here