নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নয়া দিল্লিঃ মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী দক্ষিণ কেরলে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বর্ষা প্রবেশ করেছে। কিন্তু গোটা কেরল জুড়ে বর্ষা শুরু হতে আর কিছুটা সময় লাগবে।
আবহাওয়াবিদরা বলেন, “দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু সম্পূর্ণ এলাকাটাকে ঘিরতে একটু সময় লাগবে। ৩১ শে মে কেরলে বর্ষা ঢোকার কথা ছিল। কিন্তু পর পর দুটো ঘূর্ণিঝড় তওকত ও যশের জেরে কিছুটা পিছিয়ে যায়। তবে মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ২১ শে মে বর্ষা ঢুকে গেছে। ঘূর্ণিঝড় যশ আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ থেকে উত্তর-পশ্চিমে এগিয়ে যায়। সেই কারণেই বর্ষা ঢুকতে দেরী হয়েছে। এছাড়া যদি ঘূর্ণিঝড় যশ বাংলাদেশের দিকে চলে যেত তাহলেও বর্ষা নির্ধারিত সময় মেনেই আসত”।
এর পাশাপাশি ১১ ই জুন মহারাষ্ট্রে এবং তেলেঙ্গানাতেও বর্ষা প্রবেশ করতে পারে। এছাড়া ১২ ই জুন পশ্চিমবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করতে পারে। ১৩ ই জুন ওড়িশা ও ১৪ ই জুন ঝাড়খণ্ডে বর্ষা প্রবেশের সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও সবার আগে বর্ষা ঢোকার অনুকূল পরিবেশের ওপরই সম্পূর্ণ বিষয়টি নির্ভর করছে।
আবহাওয়া দপ্তরের সূত্র অনুযায়ী উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতেও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। চলতি সপ্তাহে ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম এবং অরুণাচল প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাত হবে। তাছাড়া এই বৃষ্টিপাতের ফলে পশ্চিম হিমালয় সংলঘ্ন অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টিপাতও হবে।