রোগ প্রতিরোধে টমেটোর গুণাগুণ

Share

মিনাক্ষী দাসঃ গ্রীষ্ম হোক বা বর্ষা অথবা শীত যেকোনো ঋতুতেই টমেটো পাওয়া যায়। আর প্রতিদিনের রান্নায় কম-বেশী টমেটোর ব্যবহার হয়েই থাকে। চাটনি কিংবা রান্নার স্বাদ বাড়াতে টমেটো জুরি মেলা ভার। এছাড়া এই টমেটো কেবল স্বাদযুক্তই নয় বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রেও যথেষ্ট উপকারী।

পাকা টমেটো পাওয়া গেলেও কাঁচা টমেটো সচরাচর পাওয়া যায় না। পাকা টমেটোর পাশাপাশি কাঁচা টমেটো স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। কাঁচা-পাকা উভয় টমেটো সর্দি-কাশি প্রতিরোধ সহ রক্তাল্পতার ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হয়।


কাঁচা টমেটো ডায়াবেটিস ও রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে। কাঁচা টমেটো ফাইবারে পরিপূর্ণ হওয়ায় কনস্টিপেশন সহ পেটের যাবতীয় সমস্যা দূর করে। আর খাবারকে অতি সহজেই হজম করে।


টমেটোতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন C আছে। ফলে মাড়ি থেকে রক্তপাত নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

এছাড়া টমেটোতে লাইকোপেন প্রস্টেট নামক একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে। যা কোষবিভাজনে সাহায্য করে। ফলে ক্যান্সারের কোষকে প্রতিহত করে। তাই এটি কলোরেকটাল এবং স্টমাক ক্যান্সার প্রতিরোধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এরফলে এই কঠিন রোগ থেকে মানুষকে রক্ষা করতে টমেটোর ভূমিকা একেবারেই অনস্বীকার্য। এছাড়া টমেটো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ থাকায় খাবারের মধ্যে থেকে অথবা যেকোনো উপায়ে শরীরে টক্সিন সহ বিভিন্ন ক্ষতিকারক উপাদান প্রবেশ করলেও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের প্রভাবে তা শরীরের কোনো ক্ষতি করতে দেয় না।


টমেটো ভিটামিন K ও ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ হওয়ায় হাড় শক্ত করে। অস্টিওপোরোসিস অসুখের হাত থেকে রক্ষা করে। ভিটামিন B এবং পটাশিয়াম রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে। কোলেস্টেরলের ও ব্লাড প্রেসারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।

টমেটোয় উপস্থিত লুটেন, লাইকোপেন আর বিটা ক্যারোটিন থাকায় দৃষ্টিশক্তি উন্নত করার সাথে সাথেই চোখে ছানি পড়ে যাওয়ার সমস্যাকে দূরীভূত করে। এমনকি এটি হার্টকেও একদম সুস্থ রাখে।

মুখের সৌন্দর্য ধরে রাখতে ও বয়সের ছাপ দূর করতে টমেটো বেশ কার্যকর।টমেটোর রস মুখের ত্বক মসৃণ এবং কোমল করে তোলে।

Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
September 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930