মিনাক্ষী দাসঃ বাঙালীর রান্নাঘরে রসুনের ভূমিকা অনস্বীকার্য। জমিয়ে সুস্বাদু রান্নার ক্ষেত্রে রসুন অতি প্রয়োজনীয় উপাদান। রসুন কেবল রান্নায় ব্যবহৃত হয় তা নয় এটি শরীরের জন্যও খুব উপকারী। বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রেও অত্যন্ত কার্যকরী। তাই নিত্যদিনের প্রয়োজনে রসুন ছাড়া চলাই বাহুল্য।
ইউনিভার্সিটি অফ হেলথ অ্যান্ড মেডিক্যাল সাইন্সের গবেষণার মাধ্যমে গবেষকরা জানতে পেরেছেন, রসুন প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক রূপে কাজ করে। প্রতিদিন সকালে কিছু না খেয়ে এক কোয়া রসুন খেলে সেটি অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
এছাড়াও রসুন স্ট্রেস কমায়। হজম শক্তি বাড়ায়। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। লিভার, পিত্তথলি, পাকস্থলীকে সুস্থ করে। ক্যান্সার ও ডায়াবেটিসের মতো রোগকে প্রতিরোধ করে। হার্ট, যকৃতের সমস্যা, কানের যন্ত্রণা, ঠান্ডা লেগে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করার পাশাপাশি রক্তকে বিশুদ্ধ এবং ধমনীকে পরিষ্কার করে।
এমনকি গবেষণায় উঠে এসেছে, রসুনকে খাওয়া ছাড়াও রসুনের সংস্পর্শে থাকলেও অনেক উপকার পাওয়া যায়। এক কোয়া রসুন বালিশের নীচে রেখে দিয়ে ঘুমোলে ঘুম ভালো হবে। অ্যালার্জি কমায়। বাতের বেদনার উপশম হবে ও নেতিবাচক মনোভাব দূরীভূত হবে। আর মনের সমস্ত খারাপ ভাবনা চলে গিয়ে মন ভালো থাকবে।
তাই নানা পুষ্টি গুণে সমৃদ্ধ এই ভেষজ উদ্ভিদ ব্যবহার করতে ভুলবেন না।