রায়া দাসঃ কলকাতাঃ বিশ্বের বৃহত্তম ভোজ্য তেল সরবরাহকারী দেশ ইন্দোনেশিয়া অপরিশোধিত পাম ওয়েল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা বাড়াতে চলেছে। ফলে বাজারে ভোজ্য তেলের অনিশ্চয়তা বাড়ার সাথে সাথে আশঙ্কাই সত্যি করে ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে পাম তেলের দাম ১৪৮ টাকা থেকে বেড়ে ১৫৯ টাকা হলো। সয়াবিন তেল ১৬৪ টাকা থেকে বেড়ে হল ১৮৪ টাকা হলো। সূর্যমুখী তেল ১৬৫ টাকা থেকে বেড়ে ১৮১ টাকা হয়েছে। সরষের তেল ১৬৫ টাকা থেকে বেড়ে ১৭৫ টাকা হয়েছে আর রাইস ব্র্যান অয়েল ১৪০ টাকা থেকে বেড়ে ১৫২ টাকায় দাঁড়িয়েছে।
প্রসঙ্গত, আমাদের রাজ্য তৈল বা তৈলবীজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। পাম তেল কানাডা, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া থেকে আসে। সয়াবিন তেল পাঞ্জাব, রাজস্থান এবং উত্তরপ্রদেশ থেকে আসে। সূর্যমুখী তেলের কিছুটা পাঞ্জাব থেকে ও বেশীরভাগ রাশিয়া এবং ইউক্রেন থেকে আসে।
সরষের তেল পাঞ্জাব, রাজস্থান, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশ থেকে আসে। রাইস ব্র্যান অয়েল বর্ধমান থেকে সামান্য আসে। আর বেশীরভাগটাই কানপুর থেকে আসে। কিন্তু পাম তেল বিশ্বের অন্যান্য দেশে ভোজ্য তেল হিসেবে ব্যবহৃত হয় না। কারণ অনেক দেশে এটি গাড়ির ইঞ্জিন অয়েল।
তবে পোস্তা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির অভিযোগ তুলে জানিয়েছেন যে, “রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ চলার কারণে বেশ কিছু হোলসেলার কৃত্রিমভাবে পাম তেলের দাম ক্রমাগত বাড়িয়ে চলেছেন।”