চয়ন রায়ঃ কলকাতাঃ গড়িয়ার রাজপুর সোনারপুর পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পিন্টু দেবনাথের দপ্তরে আচমকাই কয়েক জন দুষ্কৃতীর হামলাকে কেন্দ্র করে এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এই হামলা চলাকালীন চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করার পাশাপাশি তৃণমূল কর্মীদের মারধর করা হয়েছে। এমনকি কার্যালয়ে আসা মহিলাদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের দিকেই আঙুল উঠছে।
জানা গিয়েছে, প্রতিদিনই কার্যালয়ে নানা মানুষ জন নানা প্রয়োজনে ভিড় করেন। এদিনও এলাকার অনেকেই ছিলেন। কিন্তু পিন্টু দেবনাথ না থাকাকালীন দুষ্কৃতীরা বাঁশ ও লাঠি নিয়ে কার্যালয়ে ঢুকে ভাঙচুর করে। নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ ভাঙচুরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। আর এই ঘটনা কে বা কারা কি উদ্দেশ্যে ঘটিয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি আশঙ্কাজনক অবস্থায় তৃণমূল কর্মী রাজ, বাপি হাজরা ও প্রতাপ মিশ্রকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
কাউন্সিলর এই ঘটনা প্রসঙ্গে জানান, ‘‘আমাদের এক নম্বর ওয়ার্ডে জলপোল নামের একটি বস্তি আছে। সেখানে নানা ধরণের বেআইনী কাজকর্ম চলে। একটা গোষ্ঠী এটা চালায়। তাদের বাধা দিয়ে আর একটি গোষ্ঠী তাদের শত্রু হয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে যারা বেআইনী কার্যকলাপ তারাই দলীয় কার্যালয়ের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে এসে আক্রমণ চালায়। আমাদের তিন জন কর্মীকে মারধর করা হয়েছে। আমি থাকলে আমাকেও মারধর করা হত। কুড়ি থেকে পঁচিশ জন দল বেঁধে এসেছিল।
কারা ছিল, জানি না। এখনো অবধি অমিত হালদার নামে এক জনের নাম পেয়েছি। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে বাকিদেরও দেখা যাবে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। আর এরা এক সময় বিজেপি করত। পরে তৃণমূলে যোগ দেয়। তবে বেআইনী কার্যকলাপের সাথে যুক্ত জানতে পেরে ওদের অফিস থেকে বার করে দিয়েছিলাম। ওদের নিয়ে দলীয় নেতৃত্বও উদ্বিগ্ন।’’