নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নয়া দিল্লিঃ দশকের পর দশক থেকে ম্যালেরিয়া রোগের ভ্যাকসিন আবিষ্কার নিয়ে গবেষণা চলার পর শেষমেশ সাফল্য মিললো। আজ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সরকারী ভাবে শিশুদের জন্য আরটিএস, এস/এএস০১ ভ্যাকসিনে ছাড়পত্র দিয়েছে। যা মশাবাহিত রোগের বিরুদ্ধে প্রথম ভ্যাকসিন হিসাবে নজির সৃষ্টি করলো।
বিশ্ব স্বাস্থ্য় সংস্থার অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, শতকের পর শতক ধরে ম্যালেরিয়া রোগ আছে। প্রতি বছর গড়ে ম্যালেরিয়ায় ৪ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়। অ্যানোফিলিস প্রজাতির স্ত্রী মশাই এই ম্যালেরিয়া রোগের বাহক।অ্যানোফিলিস মশার মাধ্যমে ম্যালেরিয়া সৃষ্টিকারী পরজীবী প্লাসমোডিয়াম ভাইভ্যাক্স এক দেহ থেকে অন্য দেহে ছড়িয়ে পড়ে।
বিভিন্ন তথ্যে উঠে এসেছে যে, প্রতি বছর সারা বিশ্বে প্রায় দু’কোটি মানুষের শরীরে এই পরজীবীর সংক্রমণ হয়। আর প্রতি বছর এই ম্যালেরিয়ার প্রভাবে প্রায় ৪ লক্ষ মানুষের মৃত্যু ঘটে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর টেড্রোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস বলেন, “আজ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশ্বের প্রথম ম্যালেরিয়া ভ্যাকসিনের ব্যাপক ব্যবহারের সুপারিশ করলো যা একেবারে ঐতিহাসিক”।