প্রেমিকের মলদ্বারে রড ঢুকিয়ে দিল প্রেমিকার পরিবার

Share

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ উত্তরপ্রদেশঃ আরো একবার শিরোনামে উত্তরপ্রদেশ। দিনের পর দিন যোগী রাজ্যে বর্বরতার সীমা ছড়িয়ে যাচ্ছে। আর সাধারণ মানূষ প্রশাসনের সঠিক পদক্ষেপের অভাবে ভুগছেন। তাদের ওপর আস্থা হারাচ্ছেন।

আর এবার উত্তরপ্রদেশের বেরিলিতে দলিত হওয়ার অপরাধে ২২ বছরের প্রেমিককে তার প্রেমিকার পরিবারের হাতে নৃশংস অত্যাচার সহ্য করতে হলো। 

জানা গেছে, নির্যাতিত যুবকের নাম হরেন্দ্র। হরেন্দ্রর বাবা টিকুনিয়া গ্রামের একজন দরিদ্র ভাগচাষী। হরেন্দ্র বি এ পাশ করে স্থানীয় একটি সংস্থায় কেরানীর কাজ করার পাশাপাশি কম্পিটিটিভ পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু হরেন্দ্রর প্রেমিকা উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরির টিকুনিয়া গ্রামে কেবল উঁচু জাতের। তবে হরেন্দ্র সরকারী চাকরী পেয়ে তার প্রেমিকাকে বিয়ে করতে চেয়েছিল।


কিন্তু দুজনের সম্পর্কের কথা জানাজানি হতে প্রেমিকার বাবা ব্রাহ্মদীন ও তার তিন ছেলে রাজু, ভরত এবং গজরাজ এই সম্পর্কের কথা মেনে নেয়নি। তাদের বাড়ির মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছে সন্দেহে হরেন্দ্রর উপর তার প্রেমিকার বাবা ও তিন ভাই রাস্তায় প্রচণ্ড নির্যাতন চালালেন। হরেন্দ্রকে এলোপাথাড়ি ঘুঁষি, লাঠির আঘাত এবং মলদ্বারে রড পর্যন্ত ঢুকিয়ে দেন। এর ফলে হরেন্দ্র জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।

হরেন্দ্রর খুড়তুতো ভাই অনুজের কথায় জানা যায়, প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে নিজের পরিবার সহ বন্ধুদের সঙ্গেও দূরত্ব তৈরি হয়েছিল হরেন্দ্র্রর। সে প্রেমিকার সাথে সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য যে কোনো বাধা অতিক্রম করার জন্যই প্রস্তুত ছিলেন। তাই বলে এই রকম নৃশংস পরিণাম বোধহয় কেউ অনুমান করতে পারেন নি।


পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হরেন্দ্র এবং তার প্রেমিকা ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়িত ছিল। অন্যদিকে অভিযুক্ত ব্রাহ্মদীন ও তার ছেলেরা হরেন্দ্রর বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ এনে বলেছেন, হরেন্দ্র তাদের বাড়িতে জিনিসপত্র লোপাটের তাগিদে গিয়েছিল। যদিও তদন্ত করে পুলিশ জানতে পারে হরেন্দ্রর ওপর এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।

জেলা হাসপাতালের এমারজেন্সি মেডিকেল অফিসার সতীশকুমার জানিয়েছেন, “হরেন্দ্রর সারা শরীর সহ যৌনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন আছে। তাকে খালি হাতে এবং মোটা বাঁশ দিয়ে বীভত্‍সভাবে মারা হয়েছে। মুখের ভেতর স্বরযন্ত্রেও গভীর ক্ষত ছিল যা তার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারত”। বর্তমানে হরেন্দ্র জেলা হাসপাতালে ভর্তি চিকিৎসাধীন রয়েছে। অভিযুক্তদের কড়া শাস্তির দাবী জানিয়েছে হরেন্দ্রর পরিবার।


Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
August 2025
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031