নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নয়া দিল্লিঃ আজ ভোর ৫.৩০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা বুটা সিং। মৃত্যুকালীন সময়ে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। সম্প্রতি তিনি বার্ধক্য জনিত সমস্যায় অসুস্থ ছিলেন। তিনি শুধু রাজনীতিবিদ ছিলেন না। একদিকে তিনি ছিলেন একজন পঞ্জাবী ভাষা সাহিত্যিক অপরদিকে একজন লেখক। যিনি শিখদের ইতিহাস নিয়ে বই লিখেছিলেন।
১৯৩৪ সালে পাঞ্জাবের জলন্ধরে জন্মগ্রহণ করেন বুটা সিং। রাজনীতির শুরুতে তিনি অকালি দলের সদস্য ছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি জওহরলাল নেহরুর সময়ে কংগ্রেসে যোগ দেন। ১৯৬২ সালে তিনি সাধনা লোকসভা আসন থেকে প্রথমবারের জন্য লোকসভায় নির্বাচিত হয়ে আসেন। ইন্দিরা গান্ধী ও রাজীব গান্ধীর অত্যন্ত কাছের মানুষ ছিলেন বুটা সিং। রাজীব গান্ধী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ১৯৮৬ সাল থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং কৃষিমন্ত্রী পদে ছিলেন। ২০০৪ সালে বিহারের রাজ্যপাল হিসেবে নিযুক্ত হন। আর ২০০৭ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত তফশিলি জাতীয় কমিশনের চেয়ারপার্সন ছিলেন তিনি।
তাঁর মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকপ্রকাশ করেছেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা মনমোহন সিং। এমনকি টুইট করে শোকপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রমুখ ।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereপ্রধানমন্ত্রী নিজের টুইটারে টুইট করে লেখেন, “বুটা সিং অত্যন্ত অভিজ্ঞ প্রশাসক ছিলেন। তিনি গরীবদের জন্য সবসময় আওয়াজ তুলতেন। তাঁর প্রয়াণে আমি মর্মাহত। তাঁর পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল”।
রাষ্ট্রপতি টুইট করে লিখেছেন, “দেশ একজন দক্ষ প্রশাসককে হারাল”।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereরাহুল গান্ধীও টুইটের মাধ্যমে জানিয়েছেন, “দেশ একজন সত্ নেতাকে হারাল। তিনি দেশবাসীর জন্য নিজের জীবনকে উত্সর্গ করেছিলেন। তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা রইল”।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও শোকপ্রকাশ করে বলেছেন, “আটবারের সাংসদ, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বুটা সিংয়ের মৃত্যুতে আমি শোকাহত। তাঁর পরিবার, বন্ধু, শুভানুধ্যায়ীদের জন্য রইল আমার সমবেদনা”।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereতবে অপারেশন ব্লু স্টারের পর বিধ্বস্ত স্বর্ণমন্দিরকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা রাজস্থানের প্রাক্তন সাংসদ বুটা সিং এর অবদান অনস্বীকার্য।