প্রশাসনিক হেনস্থার জেরে রীতিমতো অতিষ্ঠ দি সহরারহাট নার্সিংহোমের কর্ণধার

Share

চয়ন রায়ঃ দক্ষিণ চব্বিশ পরগণাঃ প্রায় দেড় মাস বন্ধ থাকার পর আইনী জটিলতা কাটিয়ে দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার ফলতা বিধানসভার ‘দি সহরারহাট নার্সিংহোম’ আবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে। কিন্তু যেখানে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জুলুমবাজি করতে নিষেধ করা হয়েছে সেখানে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চলা জুলুমবাজি সত্যিই ভাবাচ্ছে!!

নার্সিংহোমের কর্ণধার মহম্মদ জাহিরুল ইসলাম শেখ অভিযোগ করেন যে, “আমাদের আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটছে। স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা ইচ্ছাকৃতভাবে বারংবার তার প্রতিষ্ঠানকে হেনস্থা করছে। এর জেরে নার্সিংহোমের কর্মচারী এবং চিকিৎসক থেকে শুরু করে রোগী ও রোগীর পরিবারের সদস্যরা চরম অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন।”


জাহিরুলবাবু এও অভিযোগ করেন যে, “গত বুধবার কোনো নোটিশ ছাড়াই স্বাস্থ্য দপ্তরের বেশ কয়েকজন আধিকারিক সহ ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক, বি এল আর ও এবং ফলতা থানার বিশাল পুলিশবাহিনী নার্সিংহোমে এসে উপস্থিত হন।


আর নার্সিংহোম চালানোর জন্য মোটা অঙ্কের টাকার দাবী করা হয়েছে। এমনকি সেই টাকা না দিলে বার বার প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লিখিত ভাবে চিঠি লেখা হয়েছে। আশা করি সুবিচার পাব”। এর পাশাপাশি মুখ্য সচীব, স্বাস্থ্য সচীব, স্বরাষ্ট্র সচীব ও পুলিশ প্রশাসনকে হস্তক্ষেপ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।


স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকদের আসার বৈধ অগ্রাধিকার থাকলেও পুলিশ প্রশাসন এবং ফলতা ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকদের সাথে বেশ কিছু অসামাজিক মানুষজন নার্সিংহোমে উপস্থিত হলেন কিভাবে তা নিয়েই নানা প্রশ্ন উঠছে।

তবে এই বিষয়ে ফলতা ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক রথীন্দ্রনাথ ঘোষ জানান, “এই অভিযোগ সঠিক নয়। স্বাস্থ্য দপ্তর একটি তদন্তের জন্য এসেছিল। আমরা স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকদের কাজের সুবিধার জন্যই উপস্থিত হয়েছিলাম এছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল না।”

এর পাশাপাশি তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তী বলেন, “এই বিষয়ে আমার কাছে কেউ কোনো অভিযোগ দায়ের করেননি।”

Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
August 2025
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031