পিঙ্কি পালঃ দক্ষিণ চব্বিশ পরগণাঃ ভোরবেলা পুকুরে মাছ ধরতে গিয়ে জালে উঠল এক গোছা ঝিনুক। তারপর মাছ কেটে রান্না হয়ে যাওয়ার পর ঝিনুক ছাড়াতে গিয়ে অবাক কাণ্ড! ঝিনুকগুলো সব একে অপরের গায়ে আটকে রয়েছে। শেষমেশ পাথর দিয়ে বারি মারতেই ঝিনুকের দরজা খুলল, ভেতর থেকে ঠিকরে বেরোল আলো।
তারপর মাংস টেনে ছিঁড়ে নিতেই আলো নিভে গেল। ঝিনুকের খোলার ভেতরে ফুটে উঠলেন দেবতারা। সেই গল্প শুনিয়ে মাথায় হাত ঠেকাল কাকদ্বীপের সেই পরিবার। সেই পরিবারেরই এক মত্স্যজীবী সকালে ঝিনুকগুলো পেয়েছেন। তারপর যা যা ঘটেছে তাতে শিবরাম চক্রবর্তীর গল্প ‘দেবতার জন্ম’-র কথা মনে আসা অস্বাভাবিক নয়।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
সেই গল্পে শুরু থেকেই যে নুড়িটি মনযোগ পাচ্ছিল তার স্বাভাবিক পরিণতিতেই একদিন সে জোগাড় করে নেয় বাঞ্ছিত তেল সিঁদুর। তারপর ভক্তির ধুম। ঘটা করে পুজোআচ্চা। কাকদ্বীপের ঝিনুকের পেটে দেবতার গল্পেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। পরিবারের অভিজ্ঞতার কথা শুনে গ্রামের সকলেই ঝিনুকের মধ্যে দেবতাদের দেখতে ছুটে এলেন। তারপর তেল সিঁদুর মাখিয়ে তাঁদেরও দেবতা রূপে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
যদিও আজকালকার যুক্তিবাদী মননশীলরা এত সহজে দেবতার জন্ম বৃত্তান্ত মানতে পারলেন না। এলাকার বিজ্ঞান মঞ্চ থেকে পুরোটাই বুজরুকি বলে জানিয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়েছে। কিন্তু মানুষের ঢল সরিয়ে দেবতার গায়ে হাত ছোঁয়াতে পারলে হয়। সকাল থেকেই ভিড় উপচে পড়ছে ঝিনুক দেবতার মন্দিরে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here