Indian Prime Time
True News only ....

বর্ধমানের এলাকা পরিদর্শনে আসেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল

- Sponsored -

- Sponsored -

- Slide Ad -

রাজ খানঃ বর্ধমানঃ গোটা রাজ্যের পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও ফলাফল ঘোষণা পরবর্তী তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠছে। ইতিমধ্যেই বর্ধমান উত্তর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রাধাকান্ত রায় ও বর্ধমান দক্ষিণ কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সন্দীপ নন্দী জেলাশাসকের কাছে এই দুই বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনায় তালিকা দিয়ে স্মারকলিপিও দিয়েছেন।

ঘরবাড়ি ভাঙচুর, লুঠপাটের পাশাপাশি বাড়ি ছাড়াদের ঘরে ফিরিয়ে নিয়ে এসে শান্তি স্থাপনের আবেদন জানিয়েছেন। এদিকে বিজেপি নেতৃত্বের এই অভিযোগ পাবার পর বুধবার তড়িঘড়ি জেলাশাসক প্রিয়াংকা সিংলা, জেলা পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন সহ অন্যান্য আধিকারিকরা বর্ধমান ১ নম্বর ব্লকের মিলিকপাড়ায় সন্ত্রাস কবলিত এলাকা পরিদর্শনে যান। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই রাজ্যে তৃণমূলের সন্ত্রাসের ঘটনায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল গোটা রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

জানা গেছে, প্রশাসনের কাছে খবর ছিলই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল বর্ধমানেও আসবেন। যথারীতি বৃহস্পতিবার সকালে কেন্দ্রীয় তপশীলি জাতি কমিশনের পাঁচ সদস্যের দল বর্ধমানে এলেন। এই দলে কমিশনের চেয়ারম্যান বিজয় সাপলা, ভাইস চেয়ারম্যান অরুণ হালদার এবং ডিরেক্টর অজিত সাহু সহ মোট পাঁচ জন ছিলেন। এদিন প্রথমেই তারা জামালপুরের নবগ্রামে যান। সেখানে তপশীলি জাতি সম্প্রদায়ভুক্ত নিহত বিজেপি সমর্থক কাকলী ক্ষেত্রপালের বাড়িতে যান। যদিও এদিন গ্রামে কথা বলার মত কেউই ছিলেন না। বর্তমানে কাকলী ক্ষেত্রপালের স্বামী অনিল ক্ষেত্রপাল অসুস্থ অবস্থায় বর্ধমানের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি রয়েছেন। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল অনিল ক্ষেত্রপালের সঙ্গে নার্সিংহোমে দেখা করে কথা বলেন। চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজ খবরও নেন। এরপরই বর্ধমান ১ নম্বর ব্লকের বেলকাশ গ্রাম পঞ্চায়েতের মিলিকপাড়ায় চলে যান।

কিন্তু এরই মাঝে ব্যাপক বিতর্ক দেখা দেয়। জামালপুরের তৃণমূল বিধায়ক অলোক মাঝি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের এই পরিদর্শনকে রীতিমত সমালোচনার কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে জানান, “কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলটি কেন্দ্রের তপশীলি জাতি কমিশনের। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের রাজনীতি বিচার করা উচিত নয়। এদিন তারা নবগ্রামে নিহত বিজেপি সমর্থকের বাড়িতে গেলেও নিহত তৃণমূল সমর্থক বিভাস বাগ ও রায়নার সমসপুরের গণেশ মাঝির সম্পর্কে কোনো খোঁজ খবরই নেননি। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলটি কার্যত বিজেপি কর্মী সমর্থকদেরই খোঁজ খবর নিয়েছেন। এটা অত্যন্ত লজ্জার”।

- Sponsored -

- Sponsored -

- Sponsored -

- Sponsored -

এর পাশাপশি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল মিলিকপাড়া পরিদর্শনে এসে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিত দাস বলে অভিযোগ তুলেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, “কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল মিলিকপাড়ায় গিয়ে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়েছেন। যার জেরে জেলার শান্তি শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হবার আশংকা দেখা দিতে পারে। অবিলম্বে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের বিরদ্ধে ব্যবস্থা নেবার আবেদন জানানো হয়েছে”।

কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, “কোনো রাজনীতির সঙ্গে তাদের সম্পর্ক নেই। এখনো পর্যন্ত বাংলা থেকে কেন্দ্রের কাছে ভোট পরবর্তী দলিত সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচারের ১৬০০ অভিযোগ জমা পড়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তারা বাংলায় এসেছেন। কিছু ঘটনাস্থলও ঘুরে দেখছেন”। নবগ্রামে তৃণমূল সমর্থকদের বিরুদ্ধে খোঁজ খবর না নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, নবগ্রামে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। গ্রামে কথা বলার মত কোনো লোকই নেই। এই ব্যাপারে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছেন। আর নবগ্রামে গিয়ে জানতে পারেন কাকলী ক্ষেত্রপালের স্বামী বর্ধমানের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি রয়েছেন। তাই তারা সেখানে গিয়ে কথা বলেন”।

বিজেপি সমর্থকদের বিষয়েই কেবল খোঁজখবর নেওয়ার তৃণমূলের অভিযোগ সম্পর্কে তিনি জানিয়েছেন, “তারা দলিত শ্রেণীর ওপর অত্যাচারের বিষয়টি দেখছেন এখানে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই”। এদিন মিলিকপাড়ায় গিয়ে সেখানের অত্যাচারিতদের সঙ্গে কথা বলার পর বিজয় সাপলা জানিয়ে দিয়েছেন, “মিলিকপাড়ায় কেবলমাত্র দলিত মানুষদের ওপরই অত্যাচার করা হয়েছে। ১২ টি দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে। গোটা বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করা হবে”।

অন্যদিকে মিলিকপাড়া পরিদর্শনের পর প্রতিনিধিদলটি বর্ধমান সার্কিট হাউসে চলে গিয়ে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে সমগ্র পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। জানা গেছে, এই ঘটনায় প্রশাসন কি কি ব্যবস্থা নিয়েছে, ক্ষতিপূরণের বিষয়ে কি কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত কি কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, কি কি ধারায় কেস দেওয়া হয়েছে এছাড়া গ্রেপ্তার করা হয়েছে কিনা প্রভৃতি সমস্ত বিষয়েই খোঁজ খবর নেন।

এদিন সার্কিট হাউসে এই প্রতিনিধিদলের সঙ্গে জেলা বিজেপির কর্মকর্তারাও দেখা করেন। এদিন বিজেপির কর্মকর্তারা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের কাছে জেলা জুড়ে তৃণমূলের সন্ত্রাস নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন। বৈঠক সেরে বিজয় সাপলা জানিয়ে দিয়েছেন, “জেলাশাসকের সঙ্গে তাদের আলোচনা হয়েছে। আগামী ৫ দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে”।

এদিনই বর্ধমান জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “নবগ্রামে রাজনৈতিক সংঘর্ষে নিহত কাকলী ক্ষেত্রপাল ও বিভাগ বাগের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বিষয়ে জেলা প্রশাসন থেকে প্রয়োজনীয় আবেদন জানানো হয়েছে রাজ্য সরকারের কাছে”।

- Sponsored -

- Sponsored -

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

- Sponsored -

- Sponsored -

- Sponsored