মহম্মদ মোখতারঃ বাংলাদেশঃ আজ বামপন্থী ছাত্র যুবকরা বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করার দাবীতে ও কারাবন্দি লেখকের মৃত্যুতে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার রাজপথে নেমেছেন। আজ দুপুর প্রায় ১২ টা নাগাদ বাম সংগঠনগুলি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিছিল বের করে।
প্রসঙ্গত বলা যায়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রতিবাদে লেখক মুস্তাক আহমেদকে আটক করা হয়েছিল। আর তাঁর জেলবন্দি অবস্থাতে মৃত্যু হয়। এই ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই বামপন্থী ছাত্র যুবরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। গত শুক্রবার শিক্ষার্থীরা এই ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে মশাল মিছিল বের করেছিল। এর পাশাপাশি ‘কলম চলবে, গণতন্ত্র চাই’ এই শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে ঢাকার রাজপথ।

- Sponsored -
কিন্তু সেই সময়ে সেখান থেকে বিক্ষোভকারীদের সরাতে গিয়ে তাদের সঙ্গে পুলিশী ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পুলিশ লাঠি চালিয়ে বিক্ষোভরতদের ছত্রভঙ্গ করতে উদ্যোগী হলে পাল্টা ইট-পাথর উড়ে আসে। পুলিশকে পরিস্থিতি সামলাতে কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়তে হয়। এই ঘটনার জেরে প্রায় ৫০ জন আহত হন। আর তখন বাংলাদেশ পুলিশ সাতজন বামপন্থী ছাত্র যুবদের আটক করেছিল। তাই তাদেরই মুক্তির দাবী এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করার দাবী সহ পুনরায় কারাবন্দি অবস্থাতে লেখকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ঢাকার রাজপথ উত্তপ্ত হয়ে উঠল। অপরদিকে নিহত লেখকের পরিবার দাবী করেছেন, তাঁকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লেখার জন্যই জেলে খুন হতে হয়েছে।
বামপন্থী ছাত্র যুবকদের দাবী, অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে। এছাড়া পুলিশী হেফাজতে থাকা সাতজন বামপন্থী যুব সদস্যদেরও দ্রুত মুক্তি দিতে হবে। এমনকি জেলে থাকাকালীন লেখক মুস্তাক আহমেদের মৃত্যু কিভাবে হলো তার সত্যও পুলিশকে খুঁজে বার করতে হবে।
শাসক আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের লেখক মুস্তাক আহমেদের মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তবে শাসক দলের নেতারা এই বিক্ষোভকে ‘ষড়যন্ত্র করে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা’ বলছেন। কারণ জঙ্গিরা একের পর এক লেখক ও ব্লগারদের উপরে হামলা করেছে তখন বিএনপি নিন্দাটুকুও করেনি। এখন তারা আন্দোলনের নামে জনজীবনে অশান্তি সৃষ্টি করছে বলে মনে করেছে শাসকদল।