নয়া দিল্লিঃ করোনা মহামারীর জেরে বর্তমানে সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা বাড়িতে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস করছে। আর এই অনলাইন ক্লাস মোবাইল ফোন বা কম্পিউটারের মাধ্যমে হচ্ছে। কিন্তু শহরাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে মোবাইল ফোন বা কম্পিউটারে ক্লাস করতে কোনোরকম অসুবিধা না হলেও প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে থাকা শিক্ষার্থীদের ফোন বা কম্পিউটার না থাকায় তারা এই সুযোগ থেকে পুরোপুরিভাবে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই ই-শিক্ষার উন্নতির জন্য গঠিত মন্ত্রীদল সরকারের কাছে এই ডিজিটাল ব্যবধান দূর করতে দুঃস্থ শিক্ষার্থীদের ইলেকট্রনিক ট্যাব দেওয়া ও ইন্টারনেটের অনুপযুক্ত কনটেন্টের ওপর লক্ষ্য রেখে যথাযথ পরিকাঠামো তৈরি করার প্রস্তাব রেখেছেন।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের নেতৃত্বে গঠিত মন্ত্রীদের প্যানেল তাদের রিপোর্টে জানিয়েছেন, অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পুরসভা ও সরকারি বিদ্যালয়গুলিতে ডিজিটাল শিক্ষা চালু করতে হবে। সরকারি স্কুল ও গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের সাহায্যের জন্য ১-২ ঘন্টার ক্যাপসুল প্রোগ্রাম সম্প্রচার করতে হবে। এমনকি শিক্ষার্থীদের ইলেকট্রনিক ট্যাবলেট দেওয়ার বিষয়টিও চিন্তা-ভাবনা করে দেখা হয়।
এছাড়া রিপোর্টে ইনফর্মাল অনলাইন দক্ষতা কোর্সের শংসাপত্রের জন্য একটি সিস্টেম তৈরির কথাও উল্লেখ আছে।
সঠিক পদ্ধতিতে শিক্ষা গ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত উপকরনের প্রয়োজনীয়তার কথাও জানানো হয়েছে। তবে এই ব্যবস্থার জন্য শিল্পকলা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত থাকা ব্যক্তিদের এক ছাদের নীচে নিয়ে আসার জন্য প্যানেলে সুপারিশ করা হয়। তারফলে যেকোনো প্রান্তের শিক্ষার্থীরা উপৃকত হবে ও অভিভাবকরাও চিন্তামুক্ত হবে।