অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ আজ বিধানসভায় দফায় দফায় বিধায়কদের হট্টগোল ও ওয়াকআউটের জেরে প্রথম থেকে উত্তাল ছিল অধিবেশন। এদিন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভা থেকে বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে চলতি অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করেন।
সূত্রের খবর, শুভেন্দু অধিকারীর সাসপেন্ডের জন্য বিজেপি বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে। এদিন সাসপেন্ডের পরে শুভেন্দু অধিকারী জানান, ‘‘এই সরকার সংবিধান বিরোধী। অধ্যক্ষ নিজে সংবিধান মানেন না। বিরোধীদের অধিবেশনে বলতে দেন না।” প্রসঙ্গত, এদিন বিজেপি দুর্নীতি প্রসঙ্গে মুলতবি প্রস্তাব আনে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereপ্রস্তাবে বিজেপির দাবী, ‘‘রাজ্য সরকার প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে দুর্নীতি রুখতে ব্যর্থ হয়েছে।” কিন্তু বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী দলের আবেদন খারিজ করে দিতেই তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়। পাশাপাশি পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য এবং জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কাটআউট নিয়ে বিজেপি বিধায়করা শ্লোগান শুরু করেন। এর মধ্যে তৃণমূলের বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল বলেন, ‘‘কেন্দ্র টাকা আটকে রেখে দিয়েছে। টাকা দিচ্ছে না।’’
এই দু’পক্ষের হট্টগোলের মাঝেই বিজেপি শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে ওয়াক আউট করে। পরে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, “বিধানসভার অন্দরে বিরোধী দলনেতার আচরণ কাম্য নয়। কোন সদস্য কোন দলের তা আমি অফিসিয়াল রেকর্ড দেখেই বলেছি। রাস্তার মোড়ে যা বলা যায়, তা বিধানসভা কক্ষে বলা যায় না। আর যে আচরণ শুভেন্দু অধিকারী করেছেন, তা নিয়ে তাপস রায় আজকেই প্রস্তাব আনছেন।”
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereতাপস রায় এই প্রসঙ্গে বলেছেন, “এটা বিধানসভার অন্দর এটা। রাজনৈতিক দলের অফিস নয়। আমরা নিয়ম মানি। আমাদের শিক্ষা-সংস্কৃতি-রুচি আছে। আপনি যা বলেন তা চেয়ার থেকে। ব্যক্তি বিমান বন্দোপাধ্যায় বলেন না। আমি দীর্ঘদিনের সদস্য। এমন বিরোধী দলনেতা দেখিনি। এই ভাবে অধ্যক্ষের দিকে তেড়ে যাচ্ছেন তা দেখিনি। কোনো সৌজন্য, শিষ্টাচার নেই। শুভেন্দু অধিকারীকে সাসপেন্ড করা হোক। সংবিধান দিবসের আলোচনায় এমন আচরণ করলেন। আসলে সংবিধানের বইয়ের পাতা উল্টে দেখেননি।” এরপরেই শুভেন্দু অধিকারীকে সাসপেন্ড করা হয়।