জেসিবি লাগিয়ে বেআইনীভাবে চলছে মাটি কাটার কাজ

Share

শিবশঙ্কর চট্টোপাধ্যায়ঃ দক্ষিণ দিনাজপুরঃ যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং নিজে নদী বাঁধ রক্ষাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন সেখানে উল্টোপূরাণ দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে। বালুরঘাটের পাগলিগঞ্জ এলাকার আত্রেয়ী নদী বাঁধ সংলঘ্ন এলাকায় জেসিবি লাগিয়ে চলছে মাটি কাটার কাজ চলছে। জেসিবি লাগিয়ে মাটি কেটে ট্রাক্টরে ট্রাক্টরে সেই মাটি ইটভাটায় চলে যাচ্ছে। রাতের অন্ধকারে নয় দিন দুপুরে কার্যত প্রশাসনের নাকের ডগায় উধাও হয়ে যাচ্ছে ট্রাক্টরে ট্রাক্টরে মাটি।

https://www.youtube.com/watch?v=oky34YI9JpE


নদী বক্ষ সংলঘ্ন এলাকা থেকে মাটি কাটার এই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, “অবৈধভাবে এই মাটি কাটার কাজ চলছে”। স্থানীয় বাসিন্দা স্থানীয় বাসিন্দা রঞ্জিত মহন্ত জানালেনন, এমনভাবে মাটি কাটা হচ্ছে বন্যায় সময় বাঁধ ভেঙে যাবে। আমরা চাই প্রশাসন বিষয়টিতে নজর দিক”। অপর এক স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্জীব চৌধুরী বলেছেন, “অবৈধভাবে বালি ও মাটি দুটোই কাটা হচ্ছে। আমরা বিষয়টি জেলা শাসকের অফিসে জানিয়েছি কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি। আমরা চাইছি এই সমস্ত অবৈধ খনন বন্ধ হোক”। এছাড়া এলাকার আরো এক স্থানীয় বাসিন্দা নিরঞ্জন বর্মণ অভিযোগ করে বললেন, “সরকারী নজরদারির অভাবে সরকারী জায়গাতেই এই মাটি কাটার কাজ চলছে”।


https://www.youtube.com/watch?v=28Rn9M_Ul3I

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ পরবর্তী সময়ে পাগলিগঞ্জের আত্রেয়ী নদীর চড়ে মাটি কাটার কাজ চলাকালীন জেসিবির চালক সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে দাবী করেছেন যে, তারা কোনো সরকারী জায়গা থেকে মাটি কাটছেন না। শুধু তাই নয় জেসিবি দিয়ে কাটা মাটি ঢোলাইয়ে ব্যস্ত এক ট্রাক্টর চালকের কাছে বৈধ চালান রয়েছে কিনা তা জানতে চাওয়া হলে তিনি পুরোনো একটি কাগজ দেখিয়ে প্রতিবেদককে বিভ্রান্ত করবারও চেষ্টা করেছেন।


এই ঘটনা চাউড় হতেই উঠছে সাধারণ মানুষদের সন্দেহ জোরালো হতে শুরু করেছে। তবে কি বৈধ কাগজ ছাড়াই সাধারণ মানুষদের চোখে ধুলো দিয়ে নিঃশব্দে মাটি মাফিয়াদের রাজ চলছে।
যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের সংবাদ সংগ্রহের জন্য ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর কিছুক্ষণ পরেই মাটি কাটার কাজ করা ব্যক্তিরা জেসিবি-ট্রাক্টর সমেত চম্পট দেন।

Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
September 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930