অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ প্রায় ১৫ মিনিট পর পর লঞ্চ চলে। এই সমস্যা মেটাতে ও সময় বাঁচাতে ফেরি পরিষেবাতেও মেট্রো রেলের মতোই এবার স্মার্ট কার্ড চালু হচ্ছে। এই পরিষেবা কামারহাটির আড়িয়াদহ থেকে গঙ্গার উল্টো পাড়ের উত্তরপাড়ার মধ্যে চালু হবে। নিত্যযাত্রীরাও এই সিদ্ধান্তে যথেষ্ট খুশী।
পরিবহণ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, শহর এবং শহরতলীর মধ্যে অন্যতম ব্যস্ততম জলপথ আড়িয়াদহ-উত্তরপাড়া। প্রতিদিন এই পথে দশ হাজারেরও বেশী যাত্রী যাতায়াত করেন। যার মধ্যে অধিকাংশই নিত্যযাত্রী। ফলে প্রতিদিন লঞ্চ ধরার আগে টিকিটের লাইনে দাঁড়াতে হয়। আর অফিস টাইমে লাইনে ভিড় উপচে পড়ে।
বিশেষ করে বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া আগামী দিনে অন্যান্য ফেরিঘাটগুলিতেও স্মার্ট কার্ডের ব্যবস্থা চালু করা হবে।
টিকিট কাউন্টারের পাশেই টিকিট পাঞ্চিং মেশিন বসানো থাকবে। সেখানে স্মার্ট কার্ড ঠেকালেই গেট খুলে যাবে। এরপর যাত্রীরা লঞ্চে চড়ে নদীর এপার থেকে ওপার যাতায়াত করতে পারবেন। ওপারেও বেরনোর সময় কার্ড পাঞ্চ করতে হবে।
আড়িয়াদহ ঘাটের ক্যাশ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত শর্মিষ্ঠা হালদার বলেন, “এমন অনেকেই ছিলেন যারা টিকিট ফাঁকি দিতেন। এমনকি এক মান্থলিতে দিনে তিন থেকে চার বার যাতায়াত করতেন। স্মার্ট কার্ড পরিষেবার চালু হলে সেই সমস্ত কারচুপি বন্ধ হয়ে যাবে। অন্যদিকে টিকিট চেকারদেরও কিছুটা পরিশ্রম কমে যাবে”।
কামারহাটির পুরপ্রশাসক গোপাল সাহা বলেছেন, “শহরতলিতে পরিবহণ দপ্তরের এটি অভিনব উদ্যোগ। আমরাই স্মার্ট পরিষেবায় জেলায় প্রথম শরিক হচ্ছি”। ব্যারাকপুরের মহকুমাশাসক অভ্র অধিকারী জানিয়েছেন, “জলপথ পরিবহণের ক্ষেত্রে জেলায় এই ধরণের উদ্যোগ প্রথম। আগামী দিনে পরিবহণ দপ্তরের অন্য ফেরিঘাটগুলিতে স্মার্ট পরিষেবা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে”।