গোটা বীরভূম জুড়েই চলছে বিক্ষিপ্ত অশান্তি

Share

সুজয় ঘোষঃ বীরভূমঃ রাজ্যে শেষ দফা নির্বাচনের দিন পুরো বীরভূম জুড়ে নানা অশান্তির চিত্র প্রকাশ্যে আসছে।

একদিকে খয়রাশোলের কাঁকড়তলা থানার অন্তর্গত কদমডাঙা জে বি স্কুলের কাছে বুথের কাছে মাত্র ২০০ মিটারের মধ্যে একটি পরিত্যক্ত জায়গা থেকে জঙ্গলের মধ্যে থেকে বস্তা ভর্তি সকেট বোমা উদ্ধারের ঘটনায় এলাকা জুড়ে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়ায়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এদিন সকাল বেলা পুলিশ বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডকে খবর পাঠিয়ে ৪০ থেকে ৪৫ টি বোমা উদ্ধার করেছে। সেইসঙ্গে কেজি চারেক বোমার মশলা ও বোমা তৈরি করার সামগ্রী পাওয়া গেছে।

https://www.youtube.com/watch?v=fXU8dYPcH7w


অন্যদিকে বোলপুর বিধানসভার ইলামবাজারের খয়েরবুনি এবং তুলামোড়া গ্রামে ভোটারদের ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, তারা গত চারটি নির্বাচনে ভোট দিতে পারেননি। তারা কেন্দ্রীয় বাহিনীর আশ্বাস পেয়েও ভোট দিতে যেতে আতঙ্কে ভুগছেন।

অপরদিকে ময়ূরেশ্বরের বিননগরী গ্রামে বিজেপি প্রার্থী শ্যামাপদ মণ্ডলের ভাই বিশ্বজিত্‍ মণ্ডল আক্রান্ত হয়েছেন। বিশ্বজিত্‍ মণ্ডলকে মেরে নাক ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে উঠেছে। কিন্তু তৃণমূলের দাবী, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই তাদের উপর হামলা চালিয়ে তিনজন তৃণমূল কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দেয়।


আর বেজা গ্রামে তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষে এক তৃণমূল কর্মীর মাথা ফেটেছে।

ময়ূরেশ্বর বিধানসভার প্রজাপাড়া ১৯৭, ১৯৮ এবং ১৯৮ নম্বর বুথে বিজেপি এজেন্টদের বুথে বসতে বাধা দেওয়া হয়। আবার ভোটারদের ভোট দিতেও বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। বিজেপি প্রার্থী শ্যামাপদ মণ্ডল সেখানে গেলে তৃণমূল কর্মীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। এরপর কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা গিয়ে সেখানে রান্না চলছে দেখে সমস্ত জমায়েত সরিয়ে দেয়।


এছাড়া লাভপুর বিধানসভার পূর্ণা গ্রামে ১৩২ নম্বর বুথে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ হয়। তবে এই ঘটনায় তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি বহিরাগতদের নিয়ে জমায়েত করতেই প্রতিবাদ করায় সংঘর্ষ চরমে ওঠে। কেন্দ্রীয় বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে বুথের বাইরে থাকা বিজেপির পতাকা খুলে দেয়।

তাছাড়া লাভপুর বিধানসভার হাতিয়া-হাজরাপাড়া গ্রামে বোমা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে পুলিশ একজনকে আটক করেছে। বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের দাবী, গতকাল রাতে তৃণমূল কর্মীরা বোমা খোঁজার অছিলায় পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে গ্রামে চড়াও হয়ে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালানোর সাথে সাথে ভোট না দেওয়ার হুমকি দিয়ে যায় বলে অভিযোগ জানানো হয়। যদিও এদিন সকালে ত্রস্ত হয়ে গ্রামবাসীরা ভোট দেন।

Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
July 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031