নিজস্ব সংবাদদাতাঃ হুগলীঃ কড়া সতর্কতা সত্ত্বেও আরামবাগের দ্বারকেশ্বর নদের পাড় থেকে বালি চুরি অব্যাহত রয়েছে। খানাকুলের ঘোষপুর, ঠাকুরানিচক, কিশোরপুর ১ নম্বর ও ২ নম্বর পঞ্চায়েত এলাকায় চুরির মাত্রা বেড়েই চলেছে।
অবৈধভাবে নৌকা, সাইকেল, ইঞ্জিন ভ্যান ও গরু বা মোষের গাড়িতে করে বালি তুলে বিক্রি হচ্ছে। আবার কোনো কোনো জায়গায় বালির স্তূপ জমিয়ে তা ট্রাক্টরে পাচার করা হচ্ছে। খানাকুলের পাশাপাশি দ্বারকেশ্বরের দুই পাড় বরাবর প্রায় ৫৩ কিলোমিটার জুড়েই এই অবৈধ কাজ চলছে।
ঘোষপুর পঞ্চায়েতের প্রধান হায়দার আলির খেদ বলেছেন, ‘‘এমনিতেই নদী বাঁধগুলি দুর্বল। এর উপর পাড় ঘেঁষে বালি তোলার দৌরাত্ম্যে গ্রামগুলো বিপন্ন হচ্ছে। পুলিশ এবং প্রশাসনকে মৌখিক ভাবে বললেও লুটপাট বন্ধ হয়নি”।
সূত্রের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে, গত অক্টোবর মাসে গোঘাট, খানাকুল এবং আরামবাগের দু’টি ব্লক এলাকা থেকে বালি বোঝাই অন্তত গরুর গাড়ি, ৮ টি ট্রাক্টর, ১৫ টি ইঞ্জিন ভ্যান ও বেশ কিছু সাইকেল আটক করে মামলা রুজু করা হয়েছে।
ভূমি দপ্তরের একজন আধিকারিক জানিয়েছেন, “আমাদের যা লোকবল তাতে আমরা একা কিছু পারব না। পুলিশ, সেচ দপ্তর, ব্লক প্রশাসন পঞ্চায়েত সহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষ এগিয়ে না এলে জেলার বালি শিল্প ক্রমশ বিপন্নই হবে”। যদিও ইতিমধ্যে বালি চুরি আটকাতে অভিযান চালানো হচ্ছে।