একমাত্র সেতু প্লাবিত হওয়ায় বিপাকে বাসিন্দাররা

Share

রাজ খানঃ বর্ধমানঃ খড়ি নদীর জলে প্লাবিত মন্তশ্বরের শুশুনিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সঙ্গে বর্ধমান এক নম্বর ব্লকের যোগাযোগকারী একমাত্র সেতুটি। তাই স্থানীয়রা কোমর পর্যন্ত জলে ঝুঁকি নিয়ে ব্রীজ পার হচ্ছেন। এমনকি গ্রামবাসীদের ভরসা একমাত্র শ্মশানটিও জলে প্লাবিত।

https://www.youtube.com/watch?v=Jy6kFvCtLIY


এই সেতু দিয়ে একদিকে যেমন মন্তেশ্বরের শুশুনিয়া পঞ্চায়েতের মানুষ বর্ধমান কৃষ্ণনগর রাস্তায় এসে ওঠেন। তেমনি বর্ধমান এক নম্বর ব্লক ও বর্ধমান শহরের সঙ্গে যোগাযোগকারী এই সেতু দিয়েই এপারের লোকজন ওপারে যায়। এই সেতু না থাকলে প্রায় ১৫ কিলোমিটার ঘুরপথে যেতে হয়।

https://www.youtube.com/watch?v=rwqe4wSvDqE


স্থানীয়দের অভিযোগ, “সেই বাম আমল থেকে নেতারা কেবলই প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দিয়েছেন। বাদ যায়নি প্রশাসনিক কর্তারাও। সেই বাম আমল থেকেই প্রশাসনিক কর্তা থেকে রাজনৈতিক নেতারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন – এবছর ঠিক পাকা সেতু হয়ে যাবে। না হয়নি। প্রথম দিকে বাঁশের সেতু ছিল। পরে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর বণ্ডুল এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত তথা বর্ধমান এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে কাঠের সেতু তৈরী করা হয়েছিল। কিন্তু ২০১৫ সালের বন্যায় সেতুর অনেকগুলি কাঠ ভাসিয়ে নিয়ে চলে যায়। এরপর গ্রামবাসীদের উদ্যোগে এবং কিছুটা পঞ্চায়েতের সহযোগীতায় সেতুটি মেরামত করা হয়। তবে সেই একমাত্র যোগাযোগকারী সেতু খড়ি নদীর জলের তলায়”।


কার্যত এই সেতু কে করবে বর্ধমান এক নম্বর ব্লক নাকি মন্তেশ্বর ব্লক এই দড়ি টানাটানির জেরে ভাগের মা গঙ্গা পায়না অবস্থার শিকার হয়ে চলেছেন। ফলে গ্রামবাসীরা দ্রুত সমস্যার সমাধান চাইছেন।

সভাধিপতি শম্পা ধাড়া জানিয়েছেন, “সেতুটি জেলা পরিষদের। সেতুটি নির্মাণ নিয়ে পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী জেলা পরিষদ যেহেতু ২৫ ফুটের বেশী কংক্রিটের সেতু নির্মাণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় আই আর ডি এফের ফান্ডের মাধ্যমে যাতে সেতুটি তৈরী করা যায় তার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে”।

Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
August 2025
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031