মিনাক্ষী দাসঃ আবহাওয়ার সাথে নিজের প্রতিদিনের স্কিন কেয়ার রুটিনেও পরিবর্তন আনতে হয়। কিন্তু এই চাঁদি ফাটা রোদে ত্বকের অত্যন্ত ক্ষতি হচ্ছে। সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করে। তাও সান ট্যান আপনি ফেসপ্যাকের মাধ্যমে দূর করতে পারেন। কিন্তু সানবার্নের সমস্যাকে সহজে এড়ানো যায় না। বেশীক্ষণ রোদে থাকলে ত্বক ঝলসে যাচ্ছে। চামড়া পুড়ে কালো হয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি ত্বকে চুলকানি, জ্বালাভাব ও র্যাশের সমস্যা দেখা দিতে। তবে কয়েকটি টোটকা মানলে এই সমস্যা থেকে কিছুটা আরাম পাওয়া যাবে।
কিছু কিছু মানুষের ত্বক সংবেদনশীল হয়। রোদে বেরোলেই জ্বালা শুরু হয়। অনেক সময় ত্বকের কোনো নির্দিষ্ট অংশ রোদে পুড়ে যায়। তখন ওই অংশের ত্বকের রং ফ্যাকাশে হয়ে যায়। অনেক সময় লালও হয়ে যায়। সময়মতো এই সানবার্নের চিকিৎসা না করালে ত্বকেরই ক্ষতি হয়।
এই সানবার্নের কারণে ত্বক কুঁচকে যায়, রক্তাভ হয়ে থাকে। ফোস্কার মতো ত্বকে ঘা দেখা দেয়। ত্বক মারাত্মক জ্বলতে থাকে। এই অবস্থায় বরফ ত্বকের জ্বালাভাব দূর করতে পারে। বরফ ত্বকের প্রদাহ কমায়। রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে তোলে। এতে সানবার্নের জ্বালাভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ত্বকের যে অংশ পুড়ে গিয়েছে, তার উপর একটি সুতির কাপড়ে বরফ মুড়ে চেপে চেপে বরফ দেওয়া যেতে পারে। ত্বকের উপর সরাসরি বরফ ঘষা যাবে না। প্রয়োজনে ঠান্ডা জলে স্নানও করে নেওয়া যেতে পারে। পাশাপাশি র্যাশের ঝুঁকিও কমবে।
আর সানবার্নের উপর কোল্ড কমপ্রেস করার পর অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার মেখে নিতে হবে। প্রয়োজনে সানবার্নের উপর ঠান্ডা শসা বা অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে নেওয়া যেতে পারে। এতে সাময়িক আরাম পাওয়া যেতে পারে। পাশাপাশি ত্বকের সমস্যা কমাতে এই গরমে প্রচুর পরিমাণে জল পান করতে হবে। এতে ত্বক হাইড্রেটেড থাকবে। আর প্রয়োজনে সানবার্নের হাত থেকে মুক্তি পেতে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করে নেওয়াই শ্রেয়।
