অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ আজ নাচার বহু মন্ত্রী ও বিধায়কদের রাজ্যের বিধানসভা অধিবেশনের যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আন্দোলনকারী চাকরীপ্রার্থীদের সরিয়ে কিড স্ট্রিটে এমএলএ হস্টেলের গেট দিয়ে বেরোনোর উপায়ই ছিল না। ফলে সোমবার সকালবেলা থেকে দীর্ঘক্ষণ এমএলএ হস্টেলের ভিতরেই আটকে থাকেন।
আন্দোলনকারীদের পোস্টারে লেখা ‘‘চিতার আগুন লাগছে গায়ে, আর কত দিন পড়বো পায়ে?’’ আবার কারোর হাতের পোস্টারে লেখা, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চাই’’। চাকরীপ্রার্থীরা এমনই বহু পোস্টার এবং অজস্র দাবী-দাওয়া লেখা পোস্টার হাতে নিয়ে এমএলএ হস্টেলের গেটের সামনে বসেছিলেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, ‘‘বিধানসভার অধিবেশন চলছে। সেখানে নানা বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। অথচ যে যোগ্য চাকরীপ্রার্থীরা প্রায় নয়শো দিন ধরে প্রাপ্য চাকরীর দাবীতে পথে বসে আন্দোলন করছেন, তাদের নিয়ে সরকার বা বিরোধী পক্ষের বিধায়কেরা কোনো আলোচনাই করছেন না।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
ভোট দিয়ে যাদের বিধানসভায় প্রতিনিধিত্ব করে পাঠানো হয়েছে সেই জন প্রতিনিধিদের কাছে অবিচারের জবাব চাইতেই এমএলএ হস্টেলের গেট আটকে বিক্ষোভ দেখানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে বেলা ১১টা নাগাদ পুলিশ তাদের সেখান থেকে একরকম জোর করে টেনেহিঁচড়ে সরিয়ে দেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে জানান, ‘‘এমএলএ হস্টেলের সামনে বিক্ষোভ হচ্ছে, সেই জন্য এমএলএ, মন্ত্রীরা আটকে পড়েছেন। বলার অধিকার সবারই আছে। কিন্তু, এভাবে স্তব্ধ করে দিয়ে আন্দোলন করা ঠিক নয়। আমি প্রশাসনকে বলেছি বিষয়টা দেখতে।’’
এছাড়া বিধায়কদের হস্টেল ঘেরাও এর বিষয়ে বলেন, ‘‘আমিও খুব বিব্রত বোধ করছি। কার প্ররোচনায় ওঁরা গিয়েছেন, তা আমরা জানি। এতে উৎসাহ দেওয়া ঠিক নয়। এটা যাতে ভবিষ্যতে আর না হয়, তা আমি দেখব।’’
শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ২১ শে জুলাইতে করা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য টেনে বলেছেন, ‘‘এমএলএ হস্টেলের সামনে চাকরীপ্রার্থীরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। সরকারী সহায়তা মিলছে না বলে অভিযোগও তোলেন। ইদানীং কিছু রাজনৈতিক নেতা দলের কর্মীদের বাড়ি ঘেরাওয়ের নিদান দিচ্ছেন। আজ দেখলাম, আমাদের বিধায়কদের কী অবস্থা!
স্পিকারের কাছে অনুরোধ, এসএলএসটি চাকরীপ্রার্থীদের কথা শোনা হোক। আর রাজনৈতিক নেতারাও যাতে ভবিষ্যতে এমন মন্তব্য না করেন, সেটাও দেখুন।’’ আবার শঙ্করের অভিযোগ প্রসঙ্গে তৃণমূলের বিধায়ক তাপস রায় জানিয়েছেন, ‘‘দলের সুপ্রিমো অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শান্তিপূর্ণ অবস্থানের কথা বলেছিলেন। আর তা কেন্দ্রের কাছে বাংলার বঞ্চনার প্রেক্ষিতেই হওয়ার কথা ছিল।