ব্যুরো নিউজঃ সম্প্রতি পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কারাক জেলার টেরি গ্রামের একটি প্রাচীন হিন্দু মন্দির ধ্বংস করে ইসলামিক মৌলবাদীরা। এই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ্যে আসার পর চারিদিকে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ফলে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ব জুড়ে নিন্দার ঝড় উঠতে থাকে।
ভারতের পক্ষ থেকে ঘটনাটির তীব্র নিন্দা করে পাকিস্তানের কাছে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানানো হয়।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereগতকাল পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি গুলজার আহমেদ এই মামলার শুনানির সময় মন্দির ধ্বংসের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। এই ঘটনা গোটা বিশ্বের সামনে পাকিস্তানের মাথা হেঁট করেছে বলে উল্লেখ করে অবিলম্বে পাকিস্তানের উদ্বাস্তু সম্পত্তি ট্রাস্ট বোর্ডকে পুনরায় মন্দিরটি সরকারী খরচের মাধ্যমে পুনর্নিমাণের নির্দেশ দিলেন।
এছাড়াও ওই সংস্থাকে পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় থাকা মন্দির ও গুরুদ্বার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। এই তথ্য পাওয়ার পর ওই মন্দির এবং গুরুদ্বারগুলিকে দখলমুক্ত করা হবে বলেও জানান।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereএর পাশাপাশি এই রায়ের মাধ্যমে এই ঘটনায় অভিযুক্ত আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালতে হাজির হয়ে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের পুলিশ প্রধান জানান, “এখনো পর্যন্ত সূত্রের খবর ভিত্তিতে জানা যায়, এই ঘটনায় ১০৯ জন জড়িত আর তার মধ্যে ৯২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া কর্তব্যে গাফলাতির অভিযোগে কারাক জেলা পুলিশ সুপার ও সহকারী সুপারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে”।
আজ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছেন পাকিস্তানের সংখ্যালঘু কমিশনের প্রতিনিধিরা।